মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতির হানা থেকে বাঁচাতে বন দপ্তরের বিশেষ টহলদারি শুরু হল জেলার উত্তর বন বিভাগের বড়জোড়া,বেলিয়াতোড়,গঙ্গাজলঘাটি ও সোনামুখিতে।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন: হাতির হানার কবল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাঁচাতে জেলার হাতি প্রবণ এলাকায় বনদপ্তর হুলা পার্টি নিয়ে ঐরাবত(হাতি তাড়ানোর অভিযানে ব্যবহৃত বিশেষ গাড়ী) চড়ে মেগা- টহলদারি শুরু করে দিল।
বনকর্মী,বন দপ্তরের আধিকারিক,রেঞ্জার ও হুলা পার্টি মিলে এই টহলদারি টীম গড়ে তুলেছে বনদপ্তর।
প্রসঙ্গত, প্রায় বছর তিনেক পর জেলায় ফের ঢুকে পড়েছে হাতির দল।এখন ৫০টি হাতির পাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বড়জোড়া,বেলিয়া তোড় ও গঙ্গাজলঘাটি এলাকায়। হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে পুরোদমে। তার ওপর জঙ্গল পথ পেরিয়ে, জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষা দিতে গিয়ে, হাতির হানার আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের!
বন দপ্তরের ওপর ভরসা না রেখে, অনেকে সাথে হুলা নিয়ে ছেলে,মেয়েকে প্রথমদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছেন। বলরামপুর গ্রামের গৌতম দে বড়জোড়ার তিনের মাইল জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে মেয়ে সোনামণিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছলেন হুলা হাতে। ব্যাগেরও রেখেছিলেন আরও একটি হুলা।নিজে সাইকেলে হুলা হাতে আগে,আগে যাচ্ছিলেন, আর পিছনে মেয়ে সাইকেলে চড়ে আসছিল। গৌতম বাবু বললেন,হাতির ভয়ে গোটা গ্রাম তটস্থ,বন দপ্তরের ওপর ভরসা না রেখে, তাই হাতি ঠেকাতে হুলা হাতেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা গড়ে,পরীক্ষা কেন্দ্রে মেয়েকে পৌঁছাতে হচ্ছে।
যদিও,বন দপ্তরের উত্তর বিভাগের এডিএফও বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন, অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
ফলে, নির্ভয়ে সাহসের সাথে,পরীক্ষায় বসতে পারবেন এই এলাকার পরীক্ষার্থীরা। বনদপ্তরের এই উদ্যোগের তাই তারিফও করলেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।