শহরের বিরিয়ানিতে বিষের বিপদ! জরিপে দোকানে হানা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের,নমুনা গেল ল্যাবে।

কি করবেন দীপাবলীতে? বিরিয়ানি থেকে কি মুখ ফিরিয়ে নেবেন?না নবাবী স্বাদ উপভোগ করবেন আগের মতোই? এটা নিশ্চিত করতে,এবার বিরিয়ানির দোকানেও সেফ মার্কের ব্যবস্থা করুক খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর এমন দাবিও উঠছে। একই সাথে, ল্যাব টেস্টের রেজাল্টের জন্য শুরু প্রহর গোনা।

Update: 2023-10-31 19:40 GMT

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া শহরের ইতিউতি গজিয়ে উঠেছে বিরিয়ানির দোকান। কোথাও হায়দ্রাবাদি তো কোথাও আরসালান তো কোথাও রয়্যাল আবার কোথাও দাদা-বৌদির বিরিয়ানি - এমন হরেক ট্যাগ লাগানো। উৎসবের মরসুমে চপ,মুড়ি,তেলেভাজা আর ঘুগনি,আলুর দম প্রেমী বাঁকড়ি খাদ্য রসিকরাও মজেছেন এই নবাবি খানায়। বিরিয়ানির রঙ আর গন্ধই নাকি খদ্দেরকে টেনে আনে।তাই বিরিয়ানির বিক্রেতারা রঙ এবং গন্ধে বাজীমাৎ করার প্রতিযোগিতায় নেমে বিপদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন। নানা ক্ষতিকর এবং নিষিদ্ধ রাসায়নিক মিশছে বিরিয়ানিতে। যার বিষক্রিয়া আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

 এমনকি,মারণ রোগ ক্যান্সার পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই সব ক্ষতিকর রাসায়নিকের। ফলে বিরিয়ানিতেই লুকিয়ে রয়েছে বিষ! আমরা সতর্ক না হলেই বিপদ। উৎসবের মরসুমে শহরের বিরিয়ানির আঁতুড় ঘরে হানা দিয়ে এই বিষের বিপদ কতখানি? তা জরিপ করলেন জেলার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখাকে সাথে নিয়ে বাঁকুড়া শহরের কমরার মাঠ এলাকায় একটি বিরিয়ানি দোকানে হানা দেয় খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক,শাঁওলী বৈদ্য বলেন, এদিন এই দোকান থেকে বেশ কিছু লেবেল বিহীন রঙ,আতর এবং জাফরনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। 


 অকিছু বিরিয়ানি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এমন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং এই নমুনার গুণমান পরীক্ষার পাশাপাশি,এগুলিতে কোন বিষাক্ত রাসায়নিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে৷সাধারণত টেট্রাজাইন, মেটালিক ইয়েলো ও মেটালিক সিলভারের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে সূত্রের খবর। যার মধ্যে মেটালিক ইয়েলো ও মেটালিক সিলভার নিষিদ্ধ রায়াসনিক। স্বাদ,গন্ধ এবং রঙের জন্য বিরিয়ানিতে এগুলি মেশানো হয়। আর এতেই লুকিয়ে আছে বিপদ।টেটরাজাইন, মেটালিক ইয়েলো ও মেটালিক সিলভার শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ঢুকলে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তাছাড়া,এই তিন রাসায়নিক নিয়মিত শরীরে ঢুকলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র,কিডনি ও পাকস্থলীর ক্ষতি করতে পারে। দেখা দেয় থাইরয়েড জনিত সমস্যাও। যদিও, বিরিয়ানির দোকানদারের দাবি,তারা এসব ব্যবহার করেন না।উপকরণের গুণগত মান ঠিক,ঠিক বজায় রাখেন। তবে কেবল মুখের কথায় বিশ্বাস করা সমীচিন নয়। তাই ল্যাবের পরীক্ষার ফল আসা না পর্যন্ত হলপ করে বলা মুশকিল যে শহরের বিরিয়ানি বিষ মুক্ত।,তাহলে,কি করবেন দীপাবলীতে? বিরিয়ানি থেকে কি মুখ ফিরিয়ে নেবেন? না নবাবী স্বাদ উপভোগ করবেন আগের মতোই? এটা নিশ্চিত করতে এবার বিরিয়ানির দোকানেও সেফ মার্কের ব্যবস্থা করুক খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।

এমন দাবিও উঠছে। একই সাথে ল্যাব টেস্টের রেজাল্টের জন্য শুরু প্রহর গোনা।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News