লক্ষ্যাতড়া মহাশশ্মানে একযোগে চারটি মন্দিরে মাকালীর চার ভিন্নরূপের আরাধনা চলে আসছে যুগ,যুগ ধরে।
এখানকার মুল মন্দিরে চলে মা ভবতারিণীর পুজো।এছাড়া অন্য মন্দিরের একটিতে মা র্কটতারিণী এবং অন্য আরও দুটিতে যথাক্রমে দেবী ভৈরবী ও মা তারার আরাধনা হয়। যা অন্য কোথাও দেখা যায় না।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : একটা সময় ছিল গা ছমছম করা আবহ।দিনের বেলাতেও একা যেতে কেও সাহস করত না! আর কালী পুজোর সময় দল বেঁধে সকলে যেতেন মাতৃ দর্শনে। সেই আবহ এখন অতীত। প্রায় ৩৫ লাখ টাকার বাজেটের পুজোর আয়োজনে চন্দননগররে আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে বাঁকুড়ার লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশান। সাথে কালীপুজো উপলক্ষ্যে চলবে পাঁচ দিনের মেলা।শহর বাঁকুড়া ছাড়িয়ে আশেপাশের গ্রাম গঞ্জ থেকেও প্রচুর দর্শনার্থীদের ভীড় উপচে পড়ে এই মন্দিরে। এই পুজো কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, লক্ষ্যাতড়া মহাশশ্মশানের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এক যোগে মাকালীর চার মন্দিরে চার ভিন্ন রূপের আরাধনা। মুল মন্দিরে চলে মা ভবতারিণীর পুজো।এছাড়া অন্য মন্দিরের একটিতে মা র্কটতারিণীর পুজো হয়।
এবং অন্য আরও দুটিতে যথাক্রমে দেবী ভৈরবী ও মা তারার আরাধনা হয়। যা অন্য কোথাও দেখা যায় না। এই একযোগে দেবীর চার রূপের আরাধনার প্রথা চলে আসছে যুগ,যুগ ধরে। পাশাপাশি,যুগ পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে এই পুজোয় দিন,দিন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে।বেড়েছে জাঁকজমকের বহর। দর্শনার্থীরাও তা চুটিয়ে উপভোগ করছেন।সারা মহাশশ্মশান প্রাঙ্গণ সেজে উঠেছে। মন্দির,তোরনেও আলোর রোশনাই। সবে মিলে আলোর উৎসব দীপাবলীর আবহ মন কাড়ছে সবার,তা বলাই বাহুল্য। এই পুজো উপলক্ষ্যে চলে পাঁচ দিনের মেলা।যা কালীপুজোয় বাঁকুড়া শহরবাসীর কাছে বিনোদনের খোরাক যোগায়।বিশেষ করে কচিকাঁচাদের আনন্দ দেয় এই মেলা।
একদিকে পুজোর আবহ অন্যদিকে আনন্দ মেলার যুগলবন্দিতে জমে উঠেছে আলোর উৎসব দীপাবলি।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇