চাঁদের বাসস্থান প্রকল্পে নয়া দিগন্ত উন্মোচিত করতে গবেষণা বাঁকুড়ার অয়নের,তার তৈরি পার্টিকেল পাড়ি দেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে।
ছোট বেলা থেকেই ডিএভিতে পড়াশোনা করছে অয়ন।স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন নিচু ক্লাস থেকেই পাঠ্য বইয়ের বাইরে নানান বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ ছিল তার।ক্লাস ফাইভ থেকে মহাকাশ গবেষণার প্রতি তার টান তৈরি হয়।আর ক্লাস টুয়েলভে এসেই মেলে এই সফলতা।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : চাঁদের বাসস্থান প্রকল্প নিয়ে গবেষণায় বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অয়ন দেওঘরিয়া।বাঁকুড়া এমডিভি ডিএভি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্র কেবল দেশ নয়, সারা এশিয়া থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয় ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এন্ড স্পেস প্রোগ্রাম(IASP-2024)২০২৪ এ।গত ১১ই নভেম্বর থেকে ১৫ই নভেম্বর আমেরিকার আলবামায় ইউনাইটেড স্টেটস স্পেস এন্ড রকেট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এই স্পেস ক্যাম্প। এডভ্যান্স স্পেস একাডেমি উইংস আয়োজিত এই ক্যাম্পে অয়নের টিমে ছিল একজন আমেরিকান ও একজন মেক্সিকোর ছাত্র। এই প্রকল্পে এমন একটি পার্টিকেল উদ্ভাবন করা হয় যা চাঁদের কঠিন পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে৷ অয়নের এই উদ্ভাবনী প্রকল্পটি মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
তার তৈরি এই পার্টিকেল Materials International Space Station Experiment (MISSE)-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। অয়নের এই পার্টিকেল বা মেটেরিয়ালটি International Space Station (ISS)-এ পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, ভবিষ্যতে এই মেটেরিয়াল চাঁদে ব্যবহার করার সম্ভাবনাও রয়েছে। আর তা বাস্তবায়িত হলে অয়নের এই গবেষণা মহাকাশবিজ্ঞান এবং মেটেরিয়াল সায়েন্সের ক্ষেত্রে এক অনন্য নজির গড়বে তা বলাই বাহুল্য।ছোট বেলা থেকেই ডিএভিতে পড়াশোনা করছে অয়ন।স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন নিচু ক্লাস থেকেই পাঠ্য বইয়ের বাইরে নানান বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ ছিল তার।ক্লাস ফাইভ থেকে মহাকাশ গবেষণার প্রতি তার টান তৈরি হয়। এরপর চলে মহাাকাশ নিয়ে নানান চর্চা। আর ক্লাস টুয়েলভে এসেই মেলে এই সফলতা।
অয়নের এই সাফল্য ডিএভি স্কুলকেও গর্বিত করেছে। বাঁকুড়া এমডিভি ডিএভি স্কুলের প্রিন্সিপাল সুস্মিতা পানিগ্রাহী এবং ডিএভি স্কুলের জমিদাতা পরিবারের অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবী বিষ্ণু বাজোরিয়া অয়নের এই সাফল্যে অভিভূত। তাঁরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অয়নকে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের কমলপুর এলাকার ছেলে অয়ন স্টিফেন হকিং এর লেখা পড়েই মহাকাশের অমোঘ টানে জড়িয়ে পড়ে। তারপর একে,একে মিলেছে সাফল্য। অয়নের মা শিপ্রা দেওঘরিয়া বলেন তিনি ছোট থেকেই ছেলের এই মহাকাশ নিয়ে কিছু করার ইচ্ছেকে সাপোর্ট করেছেন।আজ ছেলের এই সাফল্যে তিনি খুশি। ছেলেকে মহাকাশ নিয়েই উচ্চ শিক্ষা দিতে চান তিনিও। তবে,এখন লক্ষ্য উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করুক অয়ন।
অয়ন যখন আমেরিকায় এই স্পেস ক্যাম্প যোগ দেওয়ার ডাক পায়, তখন তার আমেরিকা পাড়ি দেওয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। একসময় আমেরিকা যাতায়াতের ভাড়া যোগাড় না হওয়ায় ভেঙ্গেই পড়েছিল অয়ন ও তার পরিবার।অবশেষে তার পাশে দাঁড়ায় জিন্দাল স্টিল ও পাওয়ার। জিন্দাল ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় অয়নের মিশন সাকসেস হয়েছে।অয়নের আগামী প্রজেক্টেও একই ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জিন্দাল গ্রুপ।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও।👇