বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে, গাড়ী থামিয়ে কুষ্ঠ রোগীকে নিজে হাতে জামা পরিয়ে, মানবিকতার নজীর গড়লেন বিধায়ক শম্পা দরিপা।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আজ 'সাম্যের'-রাজ ধর্ম পালন করলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপা! আজ আরও একবার তাঁর মানবিক মুখ দেখে আপ্লুত সমাজের এক প্রন্তিক পল্লীর বাসিন্দারা!
জেলার নবজীবনপুর গ্রামের কুষ্ঠ রোগীদের কলোনীতে পূজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে সেখানে আজ নিজে হাতে বস্ত্র বিতরণ করতে গিয়েছিলেন তিনি।
পথে, তাঁর নজরে পড়ে এক বৃদ্ধ কুষ্ঠ রোগীর। তার পরনে ছিল কেবল মাত্র মলিন ফিনফিনে একটি গেঞ্জী। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় তিনি কাঁপছিলেন!
তা দেখে, গাড়ী থামিয়ে নেমে পড়েন শম্পা দেবী। এরপর, নিজে হাতে সস্নেহে, ওই বৃদ্ধের গায়ে নুতন জামা পরিয়ে দেন। বিধায়কের এই স্নেহময়ী রূপ দেখে, বিগলিত হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ রোগীও।
আসেপাশের লোকজনও বিধায়কের এই ভুমিকাকে স্বাগত জানান।
বিধায়ক শম্পা দরিপা জানান, সত্তরের দশকে এই নবজীবনপুরে কুষ্ঠাশ্রম গড়ার কাজে তাঁর দাদু রেভারেন্ট সি,সি,পান্ডের অবদান রয়েছে। তার উত্তরসূরি হিসেবে তিনিও পুজোর আনন্দ এদের মধ্যেও ভাগ করে নিতে, বস্ত্রদানের কর্মসূচি নেন।
আজকে প্রায় পুরুষ,মহিলা,শিশু মিলিয়ে এখানকার দেড়শতাধিক আবাসিকের হাতে নুতন জামাকাপড়,ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন তিনি। তাঁর সাফ জবাব,মানুষ, মানুষের জন্য,জীবন, জীবনের জন্য।
তাই, এদের সাথে উৎসবের দিন গুলোতেও যদি আমরা একটু খানি সহানুভূতির হাত বড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে সেটাই আমাদের কাছে শারদাঞ্জলির সমান। বিধায়কের আজকের এই ভুমিকাকে কূর্ণিশ জানাচ্ছে বাঁকুড়া২৪X৭ পরিবারও।
#দেখুন ভিডিও।[embed]