বিষ্ণুপুরের ঢেঙ্গাশোল জঙ্গলে বিয়েবাড়ীর বাসে লুটপাট করে তেলেঙ্গানায় গা ঢাকা,পুলিশের হাতে ধরা পড়ল দুই দুষ্কৃতি ।
এই ঘটনার দুই মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার এড়াতে তেলেঙ্গানায় পাড়ি দেয়।পুলিশ তাদের মোবাইল টাওয়ার চিহ্নিত করে তেলেঙ্গানায় হানা দিয়ে গত ৮ই জানুয়ারি, তেলেঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার নরসিঙ্গি থানার কোকোপেট এলাকা থেকে আইসুর মল্লিক ওরফে আদম এবং জহুর মন্ডল ওরফে জলিলকে ধরে ফেলে।;
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিয়েবাড়ীর বাস এবং একটি লরি আটকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাঠ চালায় জনা ৫- ৭ জনের দুষ্কৃতি। তারা বরযাত্রীদের কাছ থেকে গয়নাগাটি ও নগদ টাকা লুট করে।এমনকি চালকদের কাছ থেকেও টাকা পয়সা কেড়ে চম্পট দেয় তারা। গত ৩০ শে নভেম্বর বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার ঢেঙ্গাশোলের জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটে। এরপর এই লুটপাটের অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনার তদন্তে নেমে কিছুদিন পর পুলিশ তিন অভিযুক্তকে ধরে ফেলে এবং তাদের কাছে লুটের কিছু গয়নাগাটি ও নগদ টাকা উদ্ধারও করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ধৃতরা এখন জেল কাস্টডিতে রয়েছে।এই ধৃত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে এই ঘটনার দুই মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার এড়াতে তেলেঙ্গানায় পাড়ি দিয়েছে।
এরপর পুলিশ তাদের মোবাইল টাওয়ার চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান জেনে ফেলে।তারপর তাদের ধরতে বিষ্ণুপুর থানার এসাআই বাহাদুর লাই দলবল নিয়ে তেলেঙ্গানায় হানা দেন।গত ৮ই জানুয়ারি তেলেঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার নরসিঙ্গি থানার কোকোপেট এলাকা থেকে আইসুর মল্লিক ওরফে আদম এবং জহুর মন্ডল ওরফে জলিলকে ধরে ফেলে।তারা তেলেঙ্গানায় শ্রমিকের কাজ করছিল।এরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার ছোট আঙ্গারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।এই অভিযুক্ত দের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে গত ১৩ ই জানুয়ারি বিষ্ণুপুর ফিরে আসে এবং আজ তাদের আদালতে তোলা হয়। প্রসঙ্গত,এই ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই সাদেক আলী খান ওরফে পিচি এবং মজিবুর খান ও সামসুদ্দিন মন্ডলকে পুলিশ ধরে ফেলেছিল।তাদের কাছ থেকেই আইসুর ও জলিলের পুলিশ জানতে পারে।
তারপর, তেলেঙ্গানায় হানা দিয়ে এই দুই মাস্টারমাইন্ডকে ধরে নিয়ে আসে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, মুল এই দুই অভিযুক্তকে জেরা করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কিনা।পাশাপাশি,লুটের বাকি গয়নাগাটি ও টাকা উদ্ধার করা সহজ হবে৷