#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন ( বলরাম চক্রবর্তী, কোতুলপুর) : মাঝ রাতে রাবনের কাটা মুন্ডু নিয়ে এই গ্রামের মানুষজন মাতেন আনন্দ উল্লাসে! প্রায় আড়াইশো বছরেরও বেশী সময় ধরে এই প্রথা চলে আসছে কোতুলপুর ব্লকের, চাতরা রাজবংশীদের দূর্গা পুজোয়। আর দ্বাদশীর দিন মধ্যরাতে এই রাবন কাটা উৎসব দেখতে ভীড় জমান হাজার,হাজার মানুষ। আসেপাশের গ্রাম থেকেও আসেন লোকজন। বসে মেলাও। নাগরদোলা,নানা দোকানের পসরা নিয়ে হাজির থাকেন ব্যবসায়ীরা। মাঝরাতের এই উৎসবকে ঘিরে থাকে জোরদার পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। জানা যায়,আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে বর্ধমানের মহারানী ভ্রমণে বেরিয়ে এই স্থানে পৌঁছলে স্থান্টি রানীর ভালো লেগে যায়।তখন এখানেই একটি মন্দির স্থাপন করেন তিনি। মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয় সোনার বিগ্রহ। যা অস্থল নামে পরিচিত৷ আর এই মন্দির রক্ষণাবেক্ষনের জন্য রাণীমা ১৫০ একর জমিও দান করেন। সেই থেকে এই পুজো করে আসছেন গ্রামবাসীরা। বর্তমানে এই জমির সিংহভাগ খাস জমিতে পরিনত হয়েছে। ফলে, আগের মতো জমি থেকে আয় নেই। তার ওপর রাজ আনুকুল্যেও দান,খয়রাতি আর মেলে না। ফলে, আগের থেকে দিন,দিন জৌলুস হারাতে বসেছে এই গ্রামীণ পূজোটি। তবে, পরম্পরা মেনে পুজো ও রাবন কাটা উৎসবের আয়োজনে ভাটা পড়েনি। বিশালাকার রাবন বানিয়ে তরোয়াল দিয়ে তার মাথা কাটাকে ঘিরেই এই উৎসব ফি বছর হয়ে আসছে। ঢাক,ঢোল বাজিয়ে লাঠি খেলা,তরোয়াল খেলার পর শেষে রাবনের দশানন ছেদ করা হয়। আর কাটা শির অর্থাৎ মুন্ডু নিয়ে পুরোদমে চলে আনন্দ উল্লাস! এটাই এই পুজোর মূল আকর্ষন।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]