বড়জোড়ায় স্পীড বোটে সাংসদ, সোনামুখীতে নিজে নৌকা বেয়ে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন বিধায়কের।
ডিভিসি জল ছাড়ায় এই সব এলাকায় প্রায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এখনও বন্যা কবলিত এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি এই এলাকার গ্রাম গুলি।তবে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমান বাড়লে বা টানা বৃষ্টি হলে এলাকা গুলিতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বড়জোড়ায় স্পীড বোটে চড়ে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং সোনামুখীতে নিজে নৌকা বেয়ে বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন স্থানীয় বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। ইতিমধ্যেই বন্যার আশঙ্কা রয়েছে এমন সাত জেলার মধ্যে বাঁকুড়ারও নাম ঘোষণা করেছে নবান্ন। দামোদরের জলে জেলার বড়জোড়া ও সোনামুখীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মুলত ডিভিসি জল ছাড়ায় এই সব এলাকায় প্রায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এখনও বন্যা কবলিত এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি এই এলাকার গ্রাম গুলি বলে জেলাপ্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
তবে,ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমান বাড়লে এবং টানা বৃষ্টি হলে এই সকল এলাকা গুলিতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে ষোলোআনা৷ এদিন দামোদর তীরবর্তী বড়জোড়ার মানাচরে স্পীড বোটে চড়ে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি স্পীড বোটে করে নদী পেরিয়ে গ্রামের মানুষদের জন্য ত্রান সামগ্রী,ত্রিপল ও শুকনো খাবার পৌঁছে দেন।সৌমিত্র বাবু এখানকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন যে তিনি মাঝের মানার কজওয়ের সমস্যা মেটাবেন।পাশাপাশি,আবাস যোজনার বাড়ি বিলির ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থার চালুরও ইঙ্গিত দেন তিনি।এবং বিপদজনক কাঁচা বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে,সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর অঞ্চলের উত্তর নিত্যানন্দপুর ও ডিহিপাড়া অঞ্চলের কেনেটিমানা এলাকায় দামোদরের জল ঢুকে জলমগ্ন হয়েছে বিস্তীর্ণ চাষজমি। মঙ্গলবার এই সব এলাকা সরবজমিনে ঘুরে দেখেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। এমনকি উত্তর নিত্যানন্দপুর এলাকার কেনেটি মানায় নিজে নৌকা বেয়ে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিনি। এই এলাকায় প্রচুর পরিমান চাষযোগ্য জমি জলের তলায়। ফলে মাথায় হাত এলাকার চাষীদের। এছাড়া,কাঁচা বাড়িতে বসবাস করেন এমন গ্রামবাসীরা আতঙ্কের মধ্যেই রাত কাটাচ্ছেন। ব্যপক ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও।
জেলা প্রশাসন অবশ্য সব ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও 👇।