জয়পুরে তোরন তৈরি জন্য কাটা হয়েছিল রাস্তা,ঘুরপথে হাসপাতাল যেতে গিয়ে মৃত্যু প্রসূতির।
রাস্তা কেটে চলছিল তোরন তৈরির কাজ।আর সেই কাটা রাস্তা এড়িয়ে প্রায় ৩ কিমি ঘুরপথে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার ফলে বেঘোরে প্রাণ গেল এক প্রসূতির।এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ডান্ডে গ্রামে।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ( রঞ্জিত কুন্ডু, জয়পুর) : রাস্তা কেটে চলছিল তোরন তৈরির কাজ।আর সেই কাটা রাস্তা এড়িয়ে প্রায় ৩ কিমি ঘুরপথে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার ফলে বেঘোরে প্রাণ গেল এক প্রসূতির।এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ডান্ডে গ্রামে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।জয়পুরের ডান্ডে গ্রামের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা তাপসী মন্ডল গর্ভে যমজ আইভিএফ সন্তান ধারন করেছিলেন।গতকাল রাত থেকেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তার।চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিবারের লোকজন তাকে ওষুধও দেন কিন্তু তার পরেও সমস্যা বাড়তে থাকে।
এদিন, ভোরে ওই প্রসুতিকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন। সকালে তাকে গাড়িতে চাপিয়ে প্রথমে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু রাস্তায় অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিকটবর্তী জয়পুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ১০০ মিটার দুরত্বে হাসপাতালের তোরণ তৈরির জন্য সেই রাস্তা কাটা থাকায় তারা রোগীকে ঘুরপথে নিয়ে যেতে গিয়ে প্রায় মিনিট চল্লিশ সময় নষ্ট হয়।আর তার ফলেই প্রাণ হারান ওই প্রসূতি এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন মৃত প্রসূতির পরিবারের লোকজন।
যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক বটব্যলের সাফাই,ওই প্রসূতির পরিবার মাত্র ৫ মিনিটে বিকল্প রাস্তায় হাসপাতাল পৌঁছে যেতে পারতেন।কিন্তু তারা স্থানীয় কোন লোকজনকে জিজ্ঞাসা না করে নিজেরা নিজেদের ভুলেই সমস্যায় পড়েন।এদিকে,এই মৃত্যুর পর টনক নড়ে প্রশাসনের। তড়িঘড়ি তোরন তৈরির কাজ ও কাটা রাস্তার হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে দাবি স্থানীয় মানুষের।
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇