প্রেমিককে সাথে নিয়ে দেওরকে খুন বিধবা বৌদির,সারেঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত।

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন  : প্রেমিকের সাথে হাত মিলিয়ে দেওরকে খুন করলেন বিধবা বৌদি। ঠান্ডা মাথায় রিতীমত ছক বেঁধে, দেওর অসিত প্রতিহারকে খুন করে অসিতের বিধবা বৌদি গোলাপি। সারেঙ্গার মাকারকোল গ্রাম থেকে গোলাপি তার প্রেমিক গোপালের পুর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার খঞ্জির বাড়িতে নেমন্তন করে ডেকে আনে।আসিতকে। প্রথম দিন এলাহি খাওয়া দাওয়া হয়।এরপর দ্বিতীয় দিন অসিতকে থাকার জন্য জোরাজুরি করলে, অসিত থেকে যায়। আর এই থাকায় কাল হয়ে দাঁড়ায়!মদ খাইয়ে অসিতকে গোপাল আর গোলাপি দুজন মিলে জলে চুবিয়ে মেরে ফেলে। এই ঘটন আগষ্টের ৭ তারিখ ঘটলেও তা কেও টের পায়নি।

ঘটনার কয়েকদিন পর সারেঙ্গায় ফিরে আসে গোলাপি।কিন্তু আসিত ফিরে না আসায় পাড়া-প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়।তারা সারেঙ্গা থানায় ঘটনা জানায় গতকাল। এরপর তদন্ত শুরু করে সারেঙ্গা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুইজনকেই গ্রেপ্তার করে আজ খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে,পুলিশ,ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই সন্তান ও দেওর অসিত কে নিয়ে সারেঙ্গায় একসাথেই থাকতেন গোলাপি দেবী। স্বামীহার গোলাপি দেওরের সাথে থাকলেও ঠিকমতো বনিবনা হচ্ছিল না। এই অবস্থায় গোলাপির পুর্ব মেদিনীপুরের গোপাল চন্দ্র জানার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিন্তু এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল দেওয়র আসিত। কারন দেওয়র ছাড়া বাড়িতে আর কোন অন্য পুরুষ মানুষ ছিল না। দেওর অসিতকে সরাতে পারলেই তাদের প্রেমের পথে কোন বাধা থাকবে না,এই ভাবনা থেকে তারা অসিতকে মেরে ফেলার ছক কষে।এবং মদ খাইয়ে, জলে চুবিয়ে মেরেও ফেলে।তারা, ভেবেছিল পুর্ব মেদিনীপুরে অসিতকে মেরে ফেলার পর গ্রামের লোক আর ঘটনার টের পাবেনা।অসিতকে ফেরার দেখিয়ে কিছুদিন পর সে গোপালের সাথে ঘর বাঁধবে।সেই মতো অসিতকে গোপাল আর গোলাপি মিলে মেরে ফেলার পর সারেঙ্গায় গোলাপি একায় ফিরে আসে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

স্থানীয়রা ঘটনা সারেঙ্গা থানায় জানালে পুলিশ সাথে,সাথে তদন্তে নেমে পড়ায় তারা পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায়।পুলিশের দাবি,ধৃত দুজনই জেরায় তাদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে।এবার পুলিশ হেপাজতে তাদের দুইজন কে মুখোমুখি বসিয়ে ফের ম্যারাথন জেরা চলানো হবে বলে সূত্রের খবর।