মিড মিল খাইয়েই স্কুল ছুটি প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল আসনা জুনিয়ার হাই স্কুলে,হানা দিয়ে হাতেনাতে ধরলেন সভাধিপতি।
এই ঘটনা হাতে,নাতে ধরার পর সারা জেলা জুড়েই সমাধিপতি স্কুলে,স্কুলে নিয়মিত হানা দেবেন বলে জানা গেছে৷ আর,এমন ঘটনা পুনরায় ধরা পড়লে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিতদের বিরুদ্ধে যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা বলাই বাহুল্য।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : খোদ সভাধিপতির এলাকায় স্কুলে পঠন,পাঠন শিকেয়! তালডাংরা ব্লকের আসনা জুনিয়ার হাইস্কুলে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খাইয়েই ছুটি দেওয়াটাই নাকি প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল! এমন অভিযোগ কানাঘুষো পেয়েছিলেন সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। আর তারপরই ঠিক করেন নিজে আচমকা হানা দিয়ে ঘটনা যাচাই করবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে আচমা হানা দিতেই হাতেনাতে ধরে ফেললেন তিনি।স্কুলে গিয়ে দেখেন স্কুল ছুটি দুয়ে দেওয়া হয়েছে।চার জন শিক্ষক,শিক্ষিকার মধ্যে স্কুলে আছেন দুজন।বাকি দুজন নেই৷ এই অবস্থায় তিনি বিডিও এবং এসআইকে ফোন করেন।
ধমক দেন স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষিকাদেরও। আর স্কুলের এক শিক্ষিকা দীপান্বিতা দুবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন তার দাবি বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ছিল।তাই মিড ডে মিল খাইয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছে।এটা রোজই হয় এমনটা নয়,যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা পালটা দাবি করেছেন প্রায়ই টিফিনে স্কুল ছুটি হয়ে যায়৷নিজে হাতেনাতে ঘটনা ধরে ফেলায় সভাধিপতি সাথে,সাথে বিডিও এবং এসআইকে ফোনে বিষয়টি জানান।অনুসূয়া দেবী বলেন এভাবে স্কুল চললে ছাত্র- ছাত্রীদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে।তাই এই স্কুলের হাল ফেরতেই হবে।এরপরও যদি শিক্ষক,শিক্ষিকাদের টনক না নড়ে,
তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।তালডাংরা পুর্ব চক্রের এসআই দীপঙ্কর দাস বলেন,তাকে কোন কিছু না জানিয়েই স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি শিক্ষক,শিক্ষিকাদের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছেন।প্রসঙ্গত,এই ঘটনা হাতে,নাতে ধরার পর সারা জেলা জুড়েই সমাধিপতি স্কুলে,স্কুলে নিয়মিত হানা দেবেন বলে জানা গেছে৷ আর,এমন ঘটনা পুনরায় ধরা পড়লে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিতদের বিরুদ্ধে যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা বলাই বাহুল্য।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇