এক্তেশ্বরে গাজন মেলায় নাগরদোলা দুর্ঘটনায় মৃত কলেজ ছাত্রী,দুর্ঘটনার কারণ নিয়েও তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব।
প্রিয়াঙ্কার পরিবার সূত্রে জানাগেছে,এদিন প্রিয়াঙ্কার কাছে কোন মোবাইল ছিল না।সেটি বাড়িতেই রাখা ছিল।তার দাদা কৃষণ বাউরী ফোনে জানান,সেলফি তুলতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা বলে যা রটেছে,তা ঠিক নয়। আচমকা মাথা ঘুরে গিয়েই এমন বিপদ হয়েছে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : গাজন দেখে আর বাড়ি ফেরা হলনা প্রিয়াঙ্কার!বছর শেষের আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে যে এভাবে না ফেরার দেশে পাড়ি দেবে বাড়ির আদরের মেয়েটা তা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না পরিবারের লোক জন থেকে পড়শিরা। শহর লাগোয়া ভাদুল গ্রামে বাড়ি বছর কুড়ির প্রিয়ংকা বাউরীর। শহরের সারদামণি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সে। শুক্রবার সকালে পাড়ার কয়েকজনের সাথে এক্তেশ্বর গাজন মেলায় গিয়েছিল। গাজনে ঘোরার ফাঁকে নাগরদোলায় চড়ে প্রিয়াঙ্কা। আর তারপরই ঘটে বিপত্তি। দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকা ইলেক্ট্রিক নাগরদোলার বেয়ারিংয়ে জড়িয়ে যায় প্রিয়াঙ্কার মাথার চুল।সাথে,সাথে মাথার চামড়া থেকে চুল ছিঁড়ে ওই বেয়ারিংয়ে জড়িয়ে যায়।
আর প্রিয়াঙ্কা মূহুর্তের মধ্যে প্রায় ২০ ফুট ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে।সেখান থেকে রেফার করলে তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে মার যায় প্রিয়াঙ্কা। এরপর বাঁকুড়া মেডিকেলের মর্গে তার ময়নাতদন্ত হয়। এদিকে, প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর কারণ নিয়েও দ্বন্দ্ব কাটেনি! নাগরদোলার এক কর্মীর দাবি,খোলা চুলে আচমকা উঠে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, এক্তেশ্বর মন্দির পরিচালন কমিটির উপদেষ্টা লালমোহন দেঘুরিয়া অবশ্য সেলফি তত্ত্ব খারিজ করে সাফ জানান,চলন্ত নাগরদোলায় আচমকা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ায় এই বিপত্তি ঘটে।
যদিও,প্রিঙ্কার পরিবার সূত্রে জানাগেছে, এদিন প্রিয়াঙ্কার কাছে কোন মোবাইল ছিল না। সেটি বাড়িতেই রাখা ছিল।তার দাদা কৃষণ বাউরী ফোনে জানান,সেলফি তুলতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা বলে যা রটেছে তা ঠিক নয়। আচমকা মাথা ঘুরে গিয়েই এমন বিপদ হয়েছে। এদিকে,ঘটনার খবর ভাদুল গ্রামে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে।বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।এই ঘটনার পর নাগরদোলা চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়।এবং দুর্ঘটনা স্থল ঘুরে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা।
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇