বাঁকুড়ার গন্ডগ্রামে দুই ভাইয়ের অনলাইন প্রতারণা সিন্ডিকেট!ভুয়ো সিমকার্ডে ১০ হাজার ই - ওয়ালেট খুলে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণা,ধৃত ৬।

এই প্রতারণা চক্রের মুল হাতিয়ার ছিল ই- ওয়ালেট। গত দু বছরে প্রায় ১০ হাজার ই-ওয়ালেট খোলে তারা। আর এই ওয়ালেট খোলার জন্য ব্যবহার করা হয় ভুয়ো তথ্য দিয়ে আক্টিভেট করা সিমকার্ড।

Update: 2021-08-11 12:10 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার অখ্যাত ধবগ্রামের বছর ২৪ এর যুবক অভিষেক মন্ডল এভাবে হাইটেক প্রতারণা চক্রের কিং পিন তা পুলিশের তদন্তে উঠে আসতেই খানিকটা অবাকই হন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। বছর ২১ এর ভাই অভিজিৎ কে সাথে নিয়ে প্রায় বছর দুই ধরে এই চক্র চালিয়ে আসছিল সে। কিন্তু বাঁকুড়া পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই ঘটনার খোঁজ পেয়ে তদন্তে নেমেই পর্দা ফাঁস করে এই জালিয়াতি চক্রের। এদের প্রতারণা চক্রের মুল হাতিয়ার ছিল ই- ওয়ালেট। এই দু বছরে প্রায় ১০ হাজার ই-ওয়ালেট খোলে তারা। আর এই ওয়ালেট খোলার জন্য ব্যবহার করা হয় ভুয়ো তথ্য দিয়ে আক্টিভ করা সিমকার্ড।এই সব ভুয়ো ওয়ালেট মোটা টাকায় তারা অন্য অনলাইন প্রতারণা সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করতে দিত।

 তারা এই ওয়ালেটের মাধ্যমে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিত। আবার অভিষেক নিজেও এই সব ওয়ালেটে টাকা সাইফন করার কাজে লাগাত।এই চক্রের কাছ থেকে প্রায় ৯ হাজার সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই সিমকার্ডের উৎস খুঁজতে গিয়ে ওন্দা থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দেশের একটি প্রথম সারির সিমকার্ড সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার ডিলার রাজারাম বিশ্বাস।


 এবং ছাতনা থেকে আর একটি সিম কোম্পানির সিম পোর্ট আউটলেটের মালিক অজিত মন্ডল, আর কোতুলপুর থেকে ধরা পড়ে রামপ্রসাদ দিগর।ইনি ভুয়ো নথি তৈরির কাজ করতেন। আরও একজন কুলমুড়ার বাসিন্দা রহিত মন্ডল ইনি সিম কার্ড প্যাডেলার। প্রথম পর্যায়ে এই ৬ জন পুলিশের জালে ধরা পড়েছে।

এছাড়া সাতটি ব্যাংকের পাসবই,১৫ টি ডেভিড কার্ড,ল্যাপটপ, ২৩ টি মোবাইল ফোন,মনিটার,সিপিইউ,একটি হ্যান্ডিক্যাম ভিডিও ক্যামেরা ১২৫ টি জাল কেওয়াইসি নথি, নগদ ১লাখ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এবং ধৃতদের আজ বাঁকুড়া আদালতে তোল হয়। জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান,এই ঘটনার সাথে কোন আন্তর্জাতিক অনলাইন প্রতারণা চক্রের যোগসুত্র রয়েছে কিনা? তাও খতিয়ে দেখা হবে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News