নতুনচটি'র জোড়া খুনে ধৃত চারজনের ৬ দিনের পুলিশ হেপাজত,এই ইস্যুতে শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি বিজেপির।

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : নতুনচটি জোড়া খুনে ধৃত চারজনের ৬ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। নতুনচটি এলাকায় জায়গা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুর মোহন দত্ত এবং ওনার ছেলে শ্রীধর দত্ত।এবং আক্রান্ত মথুর বাবুর স্ত্রী এখন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এই খুন ও হামলার ঘটনায় মুল অভিযুক্ত মথুর বাবুর প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাস,পিন্টুর স্ত্রী নমিতা।

রুইদাস এবং দুই ছেলে মহেশ্বর ও বিশেশ্বরকে গতকাল সন্ধ্যায় দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে বাঁকুড়া থানার পুলিশ।আজ তাদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃত চারজনেরই ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত হাতিয়ার উদ্ধার করার চেষ্টা চালাবে বলে জানা গেছে।অভিযোগ,গত রবিবার সন্ধ্যে বেলায় পিন্টু রুইদাস সহ বাকি অভিযুক্তরা মথুর বাবুর বাড়িতে চড়াও হয়।

এবং তারা আক্রমণ চালায়।ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন মথুর বাবু ও মথুর বাবুর ছেলেকে। এমনকি স্ত্রী মল্লিকা দেবীও আক্রান্ত হন রুইদাস পরিবারের হাতে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।রাতের দিকে মথুর বাবু ও তার ছেলে মারা যান৷ যদিও স্ত্রী মল্লিকা দেবী প্রাণে বেঁচে যান। তবে এখনও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।মথুর বাবুর সাথে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাসের।এবং ওইবিতর্কিত জায়গার ওপর পুরসভার আবাস যোজনার বাড়ি বানাচ্ছিলেন পিন্টু রুইদাস। এই ঘটনার বিচার চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন মথুরবাবু।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট পিন্টু রুইদাসের ওই অবৈধ নির্মান ভাঙ্গার নির্দেশ দেয়।সেই রাগেই মথুর বাবু ও তার স্ত্রী এবং ছেলের ওপর পিন্টু সপরিবারে হামলা চালায়।এদিকে, এই জোড় খুনের ইস্যুতে শহরে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয় বিজেপি। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডলের নেতৃত্বে শহরের মাচানতলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।পাশাপাশি,আবাস যোজনায় পিন্টু রুইদাসের বাড়িটি কিভাবে মথুর বাবুর জায়গায় অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হল সেই প্রশ্ন তুলে পুরসভার বিরুদ্ধে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। খোদ বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদারের ওয়ার্ডেই এমন অবৈধ ভাবে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি নিয়ে বিতর্কের ঘটনার তদন্তের দাবিও তোলে বিজেপি।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও 👇