রাজ্য সরকারের প্রকল্পের প্রচারে এবার হাতিয়ার ঝুমুর গান,বাঁকুড়ায় শুরু হল শিল্পীদের তিন দিনের কর্মশালা।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : প্রায় হাজার বছরেরও বেশী প্রাচীন লোকগান ঝুমুর। এরাজ্যের রাঢ়বঙ্গে অর্থাৎ পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,ও মেদিনীপুর এলাকায় অতি পরিচিত এই ঝুমুর গান এক সময় বিনোদনের মাধ্যমে সমাজ জীবন,রাজনীতি,ধর্মীয় ধারার নানা দিক তুলে ধরত। এই বিশেষ আঙ্গিকের লোকগানের বর্তমানে আগের মতো জনপ্রিয়তা নেই। ফলে ঝুমুর শিল্পীদের রুজিরুটিতেও টান পড়ছে বিস্তর। এই অবস্থায় এই শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে এই লোকগানকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার এই ঝুমুর গানের মাধ্যমে, কন্যাশ্রী,লক্ষীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী র মতো নানা প্রকল্পের প্রচার করবে সরকার।
সেই জন্য ঝুমুর আঙ্গিকের প্রায় ৫০ জন শিল্পীদের নিয়ে বাঁকুড়া শহরের এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হলে তিন দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।রাজ্য সরকারের লোক সংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগ এবং বাঁকুড়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মশলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী এছাড়া অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদার,বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত প্রমুখ। বাঁকুড়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক গণেশ হাঁসদা জানান,
এই কর্মশালায় ৫০ জন জেলার বিভিন্ন এলাকার ৫০ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন।কর্মশালার পর এই শিল্পীরা সরকারের নানা প্রকল্পের প্রচারে অংশ নেবেন।এই কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া বিশিষ্ট দুই ঝুমুর সঙ্গীত শিল্পী স্বরাজ রায় এবং ভাষ্কর রায়। ভাস্কর বাবু বলেন এখন ঝুমুর গানেও আধুনিকতার ঝাপ লেগেছে। নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা এই গানকে ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচার করছেন।তবে পুরানো আঙ্গিক কে ভুলে গেলে চলবে না।মুল কাঠামো বজায় রেখে ঝুমুরের বিবর্তন হলে ক্ষতি নেই।
ঝুমুরের নিজস্ব ঘরানা ধরে রাখতে এই ধরনের কর্মশালার প্রয়োজন।এদিকে,ঝুমুর শিল্পীরা খুশী রাজ্য সরকার এমন কর্মশালার আয়োজন করায়।একদিকে কর্মশালায় নিজেকে সমৃদ্ধ করা অন্যদিকে সরকারি প্রকল্পের প্রচারে ঝুমুর গেয়ে রুজি রোজগার করার সুযোগ মেলায় এযেন ঝুমুর শিল্পীদের মরা গাঙ্গে বানের সামিল। তাই নতুন উদ্যমে সুরের সৃষ্টিতে মাতছেন তারা।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও 👇