শিশু পাচার কাণ্ড: আইনি রক্ষা কবজের নামে।শর্মা দম্পতিকে শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট ও চুক্তিপত্র দিয়েই মোটা টাকা হাতানো হয়,সিআইডি তদন্তে উঠে এল তথ্য।

Update: 2021-07-31 16:20 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার শিশু পাচার কাণ্ডে তদন্তে নেমে সিআইডি নবোদয় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুষমা শর্মার কোয়ার্টার থেকে এক শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট এবং স্ট্যাম্প পেপারের ওপর লেখা চুক্তিপত্র উদ্ধার করে। আজ সেই উদ্ধার হওয়া চুক্তিপত্র আদালতে পেশও করে সিআইডি। সিআইডির দাবী,এই চুক্তিপত্র বৈধ নয়। এবং এভাবে কোন শিশুকে নিজের হেফাজতে রাখা যায়না। শিশু দত্তকের আইনি পদ্ধতি আছে। তা নে মেনে এখানে শিশুটিকে মোটা টাকার বিনিময়ে কেনা হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন উঠছে এই চুক্তিপত্র কেন করা হয়েছিল? তদন্তকারি অফিসারদের ধারনা,নিঃসন্তান শিক্ষিকা সুষমা শর্মা ও তার স্বামী সতীশ ঠাকুরকে এই ৯ মাসের শিশুপুত্রকে বিক্রি করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময়, নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কমল রাজোরিয়া সহ তার সিন্ডিকেট সতীশ ঠাকুরকে আইনি রক্ষা কবজের নামে এই চুক্তিপত্র বানিয়ে দেন।

 এবং তাদের বোঝান হয় এর ফলে এই শিশুর ওপর তাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠিত হল। আর সেই বিশ্বাসেই প্রায় ২ লাখ কুড়ি হাজার টাকা শিশুর দাম হিসেবে দিয়ে দেন শর্মা দম্পতি। আজ ধৃত সুষমা শর্মা,সতীশ ঠাকুর,রিয়া বাদ্যকর ও রিয়ার মা অনিতা দেবী সহ কয়েকজনকে আদালতে তোলা হয়। এবং আদালত আগামী ২ আগষ্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।এদিকে, সতীশ ঠাকুর,সুষমা শর্মার পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ রায় চৌধুরী বলেন, শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট ও চুক্তিপত্র সিআইডি উদ্ধার করলেও এর থেকে এটা প্রমাণিত হয়নি যে শিশু বেচা কেনা হয়েছিল। কারণ শিশু বেচতে কেও দেখেনি। শিশুর মা রিয়া বাদ্যকার অভাবের তাড়নায় সুষমা দেবীর কাছে শিশুটি কে মানুষ করতে দিয়েছিলেন। এবং সুষমা দেবী নিসন্তান হওয়ায় শিশুটিকে মানুষ করার অনুরোধ মেনে নিয়েছিলেন।

যদিও,সিআইডির দাবী, তাদের তদন্ত ঠিক পথেই এগোছে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া শিশু গুলি হোম থেকে এসে আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছে। তাই এই ঘটনায় জড়িত শিশু পাচার সিন্ডিকেটের পর্দা ফাঁস খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে বলে মনে করছে সিআইডি। এবং খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও সিআইডি সুত্রে খবর।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News