মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর,শহরে যাত্রীবাহী বাসের রুট বদল, নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পণ্যবাহী যানও।ভোগান্তি এড়াতে আগাম জেনে নিন।
বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন : আজ জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া শহরে পর,পর দুদিন রয়েছে তাঁর কর্মসুচী। আজ মঙ্গলবার পুরুলিয়া থেকে দুপুরের দিকে তিনি আকাশ পথে বাঁকুড়া পৌঁছবেন।এর পর বিকেলে তিনি শহরের রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন। রাত্রে সার্কিট হাউসে রাত্রি যাপন করবেন।এবং বুধবার বেলা দশটায় শহরের সতীঘাটে দলের বুথস্তরীয় কর্মীসভায় যোগ দেবেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য এই দুই দিন বাঁকুড়া শহরে যাত্রীবাহী বাস চলাচলের রুট আমূল বদলে ফেলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানানো হয়েছে, শহরে যাত্রীবাহী বাসের সাধারণ যে প্রচলিত রুট ছিল অর্থাৎ বাস শহরে ঢুকত কেরানীবাঁধ- লালবাজার- স্টেশন মোড়-তামলীবাঁধ- বৈরব স্থান- লোকপুর মোড়- গোবিন্দনগর হাসপাতাল হয়ে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছাত।এই রুট মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুই দিনের জন্য পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।এবং তার বদলে বাস শহরে ঢুকবে রাজগ্রাম সেতু দিয়ে।রাজগ্রাম সেতু- এসবিএসটিসি মোড় হয়ে গোবিন্দনগর বাস স্টান্ডে পৌঁছবে বাস।এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।অর্থাৎ শহরে বাস চলাচল নিষিদ্ধ থাকছে।পাশাপাশি, ভারী যানবাহন ও লরির মতো পণ্যবাহী যান চলাচল।
শহরে ঢোকার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কর হচ্ছে সব ধরণের যানবাহন। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যন্য ভিভিআই,ভিভিআইপিদের গতিপথ স্বাচ্ছন্দ রাখতে ও তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই রুট বদল ও যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ জারি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে দাবী করা হয়েছে। আজ,মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকেই সার্কিট হাউস - রবীন্দ্রভবন, মাচানতলা - তামলীবাঁধ - সার্কিট হাউস মোড় হয়ে লোকপুর রোড, কলেজ মোড় - চাঁদমারীডাঙ্গা হয়ে ভৈরবস্থান মোড়, অন্যদিকে,কেন্দুয়াডিহি হয়ে সার্কিট হাউস মোড় এই সব রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এমন কি ছোট,বড়ো গাড়ীর পাশাপাশি মোটর বাইক চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক সেরে সার্কিট হাউসে পৌঁছে যাওয়ার পর এই সব রুটে যান চলাচলের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হবে। পাশাপাশি,বুধবার সকাল থেকেই সতীঘাটমুখী সব রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যা শিথিল হতে দুপুর তিনটে লেগে যাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।কারণ,বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সভার নির্ধারিত সময় রাখা হয়েছে বেলা দশটা।তার পর বেশ কিছুক্ষণ এই কর্মীসভা চলবে। তার ফলে সভা শেষ হতে দুপুর গড়াবে।
সভা শেষে সভা মঞ্চের পাশের অস্থায়ী হেলিপ্যাড থেকে তিনি আকাশ পথে কলকাতা পাড়ি দেবেন। তার পর সভায় যোগ দিতে আসা প্রচুর মানুষ ও তাদের যানবাহন তাদের গন্তব্যস্থলে রওনা দিতেও বেশ কিছু সময় লেগে যাবে।তাই এই ভীড় স্বাভাবিক হতে প্রায় তিনটে বেজে যাবে।ফলে মঙ্গল ও বুধ এই দুই দিন শহরে চলাচল করতে এবং ঝক্কি এড়াতে এই সব রুটের বা রাস্তার বিকল্প পথ বেছে নিন।