ই - শ্রম কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা,ঝাঁটিপাহাড়ি থেকে গ্রেপ্তার ১০ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত।
এই চক্রটি নথি হাতিয়ে আর্থিক প্রতারণা বা এই সব নথি দিয়ে ব্যাঙ্ক।একাউন্ট খুলে তাতে সাইবার প্রতারণার টাকা লেনদেন করার ছক কষেছিল।অবশেষে, পুলিশের জালে ধরা পড়ল ১০ জনের প্রতারক বাহিনী।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ( সোহন রক্ষিত, ছাতনা) : ই - শ্রমকার্ড করে দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগে ছাতনা থানার পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। এই ১০ জনছাতনা থানা এলাকার ঝাঁটিপাহাড়ী রেল স্টেশন চত্ত্বরে ক্যাম্প করে স্টেশনের র্যাক পয়েন্টে কর্মরত শ্রমিকদের কাছ থেকে আধার,প্যানকার্ড,ভোটার কার্ড সহ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করছিল। এই তথ্য সংগ্রহের কোন সরকারি অনুমতি ছিল না।শ্রমিকদের অভিযোগ, এরা নিজেদের রেলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রায় ১৫০ জন শ্রমিকের কাছ থেকে এই সব তথ্য হাতিয়ে নেয়।শ্রমিকদের সন্দেহ হওয়ায় তারা ছাতনা থানায় বিষয়টি জানান।
এরপর, পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে ১০ জনকে গতকাল গ্রেপ্তার করে।তারা ঝাঁটিপাহাড়ির ব্যাঙ্ক মোড়ের কাছে একটি বেসরকারি লজে রাতে থাকত। পুলিশ তাদের কাছে এই কাজ করার জন্য শ্রম মন্ত্রকের অনুমতিপত্র চাইলে তারা তা দেখাতে পারেনি। এবং কথাতেও তাদের অসংলগ্নতা ধরা পড়ে।এরপরই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এবং তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ,পাঁচটি রেজিস্ট্রার এবং বেশ কিছু ফর্ম বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতরা এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ধারায় পুলিশ মামলা দায়ের করে।আজ ধৃত ১০ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই চক্রটি নথি হাতিয়ে আর্থিক প্রতারণা বা এই সব নথি দিয়ে ব্যাঙ্ক।একাউন্ট খুলে তাতে সাইবার প্রতারণার টাকা লেনদেন করার ছক কষেছিল।এছাড়া এই চক্রের সাথে বড়ো কোন আন্তরাজ্য চক্র জড়িয়ে আছে কিনা? এবং ঝাঁটিপাহাড়ি ছাড়া জেলা বা রাজ্যের আর কোন,কোন জায়গায় তারা এইভাবে শ্রমিকদের নথি হাতিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇