পুরপ্রধান পদে থেকে বৌয়ের নামে কোটি,কোটি টাকার সম্পত্তি,বাঁকুড়ায় পা রেখেই আক্রমণ সুকান্তের,প্রমাণ করতে না পারলে কান ধরে উঠবোস করানোর পালটা চ্যালেঞ্জ মহাপ্রসাদের।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আজই জেলায় প্রথম পা রাখলেন সুকান্ত মজুমদার। আর পুরভোটের প্রাক্কালে জেলায় এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাঁকুড়া পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তোপ দেগে কার্যত পুরভোটের দামামা বাজালেন তিনি। আজ, শহরের মাচানতলার আকাশ মুক্তমঞ্চ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নাম না করে মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে ইঙ্গিত করে বলেন, বাঁকুড়া পুরসভার যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি একটা ছোটো হার্ডওয়ার দোকান চালাতেন । আর আজ তার বৌয়ের নামে কোটি,কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। এই সব দুর্নীতির যথা সময়ে প্রকাশ্যে আনা হবে বলেও জানান তিনি। তার সাফ কথা এই দুর্নীতি প্রমাণের কাগজ পত্রও তাদের হাতে আছে। কাওকেই ছাড়া হবে না বলে হুমকীও দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে,বাঁকুড়া পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, তার বিরুদ্ধে আনা বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি হুমকী দিয়ে বলেন, যদি ১৫ দিনের মধ্যে সুকান্ত বাবু এই দুর্নীতি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে মাচানতলায় প্রকাশ্যে সুকান্ত মজুমদারকে উঠবোস করিয়ে ছাড়বেন। এমনকি প্রয়োজনে মানহানির মামলাও দায়ের করাবেন বলেও জানান মহাপ্রদাস সেনগুপ্ত।প্রসঙ্গত,পুরভোট আসন্ন। তাই পুরভোটের হাওয়া তুলতে বাঁকুড়ায় পা রেখেই খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতর বিদায়ী পুর প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ইস্যুতে সরব হলেন বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। বিজেপির পাশাপাশি সুকান্ত বাবুর এই বক্তব্য জেলার তৃণমূলের নেতা থেকে কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও আলোড়ন ফেলেছে।
এখন দেখার, বিজেপি রাজ্য সভাপতি বনাম বিদায়ী পুরপ্রধানের এই লড়াই কতদুর গড়ায়! সেদিকেই নজর রইল বাঁকুড়া পুর শহরের বাসিন্দাদের তা বলাই বাহুল্য।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇