এবার তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরীকে দল থেকে বহিষ্কারে দাবীতে পোস্টার, চাকরির নামে টাকা তোলার অভিযোগ,ঘটনা খতিয়ে দেখবে রাজ্য নেতৃত্ব।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কোন বিরোধী দল নয়!খোদ তৃণমূলেরই একনিষ্ঠ কর্মী, সমর্থকরা এবার দলের প্রাক্তন বিধায়ককে কাঠগোড়ায় তুলে ,তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবীতে পোস্টার দিলেন। এমন পোস্টারে ছয়লাপ শালতোড়া বিধানসভার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দুর্লভপুর এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে এই পোস্টার নজরে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এই পোস্টারে প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরীকে গৃহ শত্রু বিভীষণ আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থী সন্তোষ মন্ডলকে বিধানসভায় হারানোর দায় চাপানোর পাশাপাশি,দুর্নীতি, চাকরির নামে এলাকার বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তোলার মতো মারত্মক অভিযোগ লেখা আছে। এছাড়া, তার বিপুল পরিমান সম্পত্তির তদন্তও দাবী করা হয়েছে। এমনকি তাকে অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবী তোলা হয়েছে এই পোস্টার গুলিতে।
এই পোস্টারগুলোর তলায় লেখা আছে সৌজন্যে শালতোড়া বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী ও সমর্থক বৃন্দ। স্বাভাবিক ভাবেই এই পোস্টারের জেরে চাপে শাসক দল। সুত্রের খবর,পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখবে রাজ্য তৃণমূলের নেতৃত্ব। শালতোড়ায় পাঠানো হতে পারে রাজ্যের কোন প্রতিনিধিকেও। এদিকে, স্বপন বাউরীর সাফ জবাব, দল তদন্ত করে যদি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাহলে তিনি দল যা শাস্তি দেবে তা মাথা পেতে নেবেন। কিন্তু, তিনি নিশ্চিত তার বিরুদ্ধে কেও কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন না। কারণ, সব অভিযোগই মিথ্যে এবং উদেশ্য প্রনোদিত। অর্থাৎ তার ইঙ্গিত বিপক্ষ লবি চক্রান্ত করে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে।তিনিও নিজেও এর পিছনে 'কারা'-আছে তার খোঁজ শুরু করেছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবী করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে টানা ১০ বছরের বিধায়ক স্বপন বাউরীকে এবার আর টিকিট দেয়নি দল। তার ভাবমূর্তি এলাকায় নষ্ট হওয়ায় তার বদলে ব্লক সভাপতি সন্তোষ মন্ডলকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূলের এই আসন হাতছাড়া হয়। জয়ী হন বিজেপির দিনমজুর প্রার্থী চন্দনা বাউরী। চন্দনা দেবীর জয়ের পিছনে স্বপন বাবুর আঁতাত রয়েছে বলেও পোস্টারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোটের এতদিন পর কেন এই ইস্যুতে পোস্টার সাঁটয়ে রাজনৈতিক শোরগোল ফেলা হল শালতোড়ায়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে খোদ জেলা তৃণমূলের অন্দরেও।
👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇