উড়ল কাইটস,জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে মিলল বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা।
'কাইটস' দীর্ঘদিন ধরে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে আসছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন এই কাইটস উড়ল জেলার জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রাম কান্দারডিহিতে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের পড়ুয়া এবং এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাইটস দীর্ঘদিন ধরে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে আসছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন এই কাইটস উড়ল জেলার জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রাম সিমলাপাল ব্লকের কান্দারডিহিতে।শহর বাঁকুড়া থেকে এক ঝাঁক চিকিৎসক পড়ুয়া ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রামে হাজির হয়ে দিলেন উন্নত মানের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা।স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিবির করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রোগ নির্ণয় এবং বিনামূল্যে ওষুধপত্র দেওয়া হয় কাইটসের পক্ষ থেকে।
জেলারেল মেডিসিন,জেনারেল সার্জারি,ইএনটি,চক্ষু,স্ত্রী রোগ ও শিশু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের শিবিরে। চিকিৎসার পাশাপাশি, রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা এবং রক্তের শ্রেণি নির্নয় অর্থাৎ ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয় বিনামূল্যে। এছাড়া বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগ, চোখের জয় বাংলা (conjunctivitis) রোগ নিয়ে সচেতনতার পাঠও দেন কাইটসের চিকিৎসকরা। এই শিবিরে উপস্থিত হয়ে কাইটসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন সিমলাপাল ব্লকের বিএমওএইচ ডাঃরামাশিষ টুডু। তিনি বলেন, কাইটসের এই শিবিরের ফলে গ্রামের প্রান্তিক মানুষ জন বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পেলেন।
এমন শিবির নিয়মিত ব্যবধানে এই এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে করার জন্য সংস্থার প্রতি আবেদনও জানান তিনি। গ্রামের মানুষও ডাক্তার বাবুরা তাদের গ্রামে এসে এভাবে দুয়ারে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ায় আপ্লুত।কাইটস এর পক্ষ থেকে রূপম মন্ডল জানান, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হল কাইটস। ডাক্তরি পড়ুয়াদের এই সংস্থার সাথে সহযোগিতা করেন মেডিকেলের সিনিয়র চিকিৎসকরাও। সবাই মিলে আমরা সারা বছর ধরেই জেলার কোন না কোন গ্রামে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করে থাকি। স্বাধীনতার দিবসের দিনও আমরা শিবিরের আয়োজন করি।
জেলার জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এই গ্রামটিকে বেছে নেওয় হয়।এই শিবিরে ভালো সাড়া মেলে। শিবিরে যাদের জটিল রোগ ধরা পড়েছে বা পরবর্তীকালে অপারেশন করার প্রয়োজন, তাদের আমরা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দেব৷ মুলত মানুষের পাশে থাকার জন্যই আমাদের এই প্র্য়াস। আমরা চাই কাইটস আগামীতে আরও প্রত্যন্ত গ্রামের আকাশে পাড়ি দিক,আর হাসি ফোটাক আগনিত মানুষের ঠোঁটে।