স্থানীয়দের আশঙ্কাই সত্যি হল,জওহর নবোদয় স্কুলে চলছিল শিশু পাচারের সিন্ডিকেট,অধ্যক্ষ সহ ধৃত ৮,উদ্ধার ৫ শিশু।

Update: 2021-07-19 17:18 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : রবিবার বাঁকুড়ার কালপাথরে কেন্দ্র সরকারের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি স্থানীয় তৃণমূল প্রধান সুব্রত সাহানাও পুলিশের কাছে পুরো চক্রটিকে ধরার আবেদন জানান।


 অবশেষে, পুলিশ তদন্তে নেমে এই স্কুলের অধ্যক্ষ,এক শিক্ষিকা সহ আট জনকে গ্রেপ্তার করে আজ বাঁকুড়া আদালতে তোলে। এবং এই পাচার চক্রের জাল বাঁকুড়ার পাশাপাশি, দুর্গপুর এমনকি ভিন রাজ্য রাজস্থান পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। নবোদয় স্কুলের অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একলপ্তে ৫ টি শিশুকেও উদ্ধার করে পুলিশ তাদের হোমে রাখা হয়েছে।

 ধৃত ৮ জনের তালিকায় রয়েছেন অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া,ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা সুষমা শর্মা,ও তার স্বামী ব্যাঙ্ক কর্মী সতীশ ঠাকুর,আর রয়েছেন নিজেকে এই পাঁচ সন্তানের মা বলে দাবী করা দুর্গাপুরের কাদারোডের মেনগেটের বাসিন্দা রিয়া বাদ্যকর ও তার মা সুনিতা বাদ্যকর। এছাড়া স্বপন দত্ত ও দেব বাদ্যকর এবং গাড়ীর চালক। এদের আজ বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে অধ্যক্ষ সহ তিনজনের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকীদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে রাজস্থানের বাসিন্দা,অধ্যক্ষ কমল কুমার বাজোরিয়া স্কুলের কোয়ার্টারসে থাকতেন। তিনি স্কুলেরই নিসন্তান শিক্ষিকা সুষমা শর্মার জন্য মোটা টাকার বিনিময়ে কাদারোড থেকে একটি শিশুপুত্রের বন্দোবস্ত করেন।

পাশাপাশি রিয়ার বাদ্যকরের আরও দুটি মেয়েকে এনে নিজের কাছে রেখেছিলেন অধ্যক্ষ। রবিবার ফের আরও দুটি বাচ্চাকে নিয়ে হাজির হন রিয়া তার মা ও আরও দুজন। এবং রবিবারই স্থানীয় মানুষ পুলিশের নজরে এনে এই পাচার চক্রের পর্দা ফাঁসের দাবী তোলেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ পুরো চক্রটিকে ধরে ফেলে। এবং এই চক্রটি এর আগে এমন শিশু বিক্রি করেছে কিনা? এবং কি দামে তারা এই শিশু কেনা বেচা করছেন এসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সরকারী আইনজীবী বিমল কুমার মন্ডল বলেন ধৃতদের বিরুদ্ধে শিশু বিক্রি ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী রথীন দের দাবী,যেহেতু শিশুর মায়ের কোন অভিযোগ নেই তাই এটা উদেশ্য প্রনোদিত হয়ে অধ্যক্ষকে ফাঁসানো হচ্ছে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News