বাঁকুড়া পুরসভার ৯ নাম্বারে জাতীয় কংগ্রেসর প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে তৃণমূলে ভীড়লেন পার্থ,১৭ নাম্বারেও মনোনয়ন প্রত্যাহার কংগ্রেস প্রার্থীর।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরালো তৃণমূল।প্রার্থীর দৌড়ে থেকেও তৃণমূলের টিকিট না মেলায় বাঁকুড়া পুরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রক্তন কাউন্সিলর পার্থ সারথি দে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন। আজ তিনিই জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী পদ প্রত্যহার করে ফের তার পুরানো দল তৃণমূলে যোগ দিলেন।পাশাপাশি,জাতীয় কংগ্রেসের ১৭ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রার্থী টুম্পা বাউরীও এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এছাড়া ১ নাম্বারে দেবজিৎ লাহা,১২ নাম্বারে শেখ কাল্টু,১৬ নাম্বারে দিব্যেন্দু দাস এই তিন নির্দল প্রার্থীও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন বলে জানা গেছে।এদিন গাড়ী করে তৃণমূল জেলা নেতাদের সাথে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে আসেন ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের জাতীয় কংগ্রেস পদ প্রার্থী পার্থ সারথি দে ওরফে ঝুকা।
তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহারে পর সংবাদ মাধ্যমে তার এই ভোল বদলের জন্য শহরবাসীর কাছে ক্ষমাও চান।এবং তিনি জানান, তৃণমূল তাকে টিকিট না দেওয়ায় ক্ষোভে দল ছেড়ে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার ফের তিনি তৃণমূলে ফিরলেন এবং দলের হয়ে কাজ করবেন।এদিকে,জাতীয় কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দাগল জাতীয় কংগ্রেস।কংগ্রেস নেতা অরুপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবী, এটা আসলে তৃণমূল চক্রান্ত। তাদের দুই প্রার্থীকে ভীতি প্রদর্শন করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করিয়েছে তারা।রাজ্যের শাসক দল যদি প্রকৃত উন্নয়ন করে থাকে,তাহলে এমন অগনতান্ত্রিক পথে কেন হাঁটল তারা। এর জবাব বাঁকুড়া শহরের মানুষই দেবেন বলেও জানান তিনি।
যদিও তৃণমূল নেতা শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবী, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এনারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আর পার্থ সারথি দে তার নিজের দল তৃণমূলে ফিরে খুশী। তিনি দলের হয়ে কাজ করবেন।প্রসঙ্গত,বাঁকুড়া পুর সভায় মুলত চারটি ওয়ার্ডে গোঁজের গেরোয় বিপাকে পড়েছিল তৃণমূল। তার মধ্যে ৯ নাম্বার ওয়ার্ডে পার্থ সারথির গেরোর জট খুললেও বাকি তিন ওয়ার্ডে গোঁজের গেরো কার্যত রয়েই গেল! ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল,১৮ নাম্বার ওয়ার্ডের গত পুরবোর্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তী,২৩ নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার লতিকা হালদার তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থেকেই গেলেন। তাই এই তিন ওয়ার্ডের গোঁজ প্রার্থীর সাথে তৃণমূলের মোকাবিলা দেখার জন্য ২৭ তারিখের অপেক্ষায় রইলেন শহরবাসী, তা বলাই বাহুল্য।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও 👇