অভিষেকের সভায় ছদ্মবেশে নালিশের বদলা নিতে প্রতিবাদী মহিলার স্বামী ও তার ওপর হামলা,গ্রেপ্তার তৃণমূল ২ নেতার জেল হেফাজত।
ওন্দা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে'র অনুগামীদের একাংশ মনে করছেন,দল আশিষ বাবুর পাশ থেকে এবার সরে যাচ্ছে,তাই এই গ্রেপ্তারি। এখন দেখার,এই গ্রেপ্তারির পর তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব আশিষ বাবুকে সাসপেন্ড করার পথে হাঁটেন কিনা?
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সভায় বৃদ্ধার ছদ্মবেশে নালিশ জানানোর বদলা নিতে এক প্রতিবাদী মহিলার স্বামী ও তার ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের ওন্দা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে ও তার অনুগামী আর এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা দোলন পরামানিকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মহিলা তথা তৃণমূল কর্মী প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী ও তার স্বামী সুব্রত গোস্বামীর ওপর হামলার অভিযোগ ওন্দা থানায় দায়ের করার পরই পুলিশ এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে। এবং আজ, শনিবার তাদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, রামসাগরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর অভিযোগ, বর্তমানে ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে কোভিড মহামারীর সময় একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ দেওয়ার নাম করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা প্রতারণা করেন। এবিষয়ে তিনি পুলিশেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সেই সময় তার গ্রামের ফাস্ট ফুড সেন্টারের হামল চালায় আশিষ দে'র লেঠেল বাহিনী। সেই থেকে আদালতে মামলা চলছে। এই ঘটনা তিনি বৃদ্ধার ছদ্মবেশে ওন্দায় গত ১২ এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে জানান এবং এই আশিষ দে কে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের আবেদন জানান এবং শাস্তিরও দাবি তোলেন।সেই ছদ্মবেশে নালিশের ঘটনা সার বাংলা মিডিয়া জুড়ে শিরোনামে উঠে আসে।
পঞ্চায়েত ভোট সামনে থাকায় আশিষ ও তার অনুগামীরা চুপচাপ ছিল।ভোট মিটতেই নালিশের বদলা নিতে গত ১২ ই জুলাই রামসাগর বাজারে প্রিয়াঙ্কা দেবীর স্বামীকে আক্রমণ করেন। প্রিয়াঙ্কা দেবীর স্বামী সুব্রত বাবু কয়েকজন বন্ধুর সাথে ফিস্ট করছিলেন। সেখানেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে প্রিয়াঙ্কা দেবী স্বামীকে বাঁচাতে এলে তিনিও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ।যদিও,অভিযুক্ত ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে'র দাবি,প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী ও তাঁর স্বামী সুব্রত গোস্বামীর তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন।তিনি, এই ঘটনায় ছিলেনই না বলে পালটা দাবি করেন।
আর,যে বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নালিশ জানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা দেবী,তা আদালতে বিচারাধীন আছে।ফলে তিনি দোষী তা এখনও প্রমাণিত হয় নি বলে দাবি করে, আত্মপক্ষ সমর্থনে পথে হাঁটেন এই তৃণমূল নেতা।প্রসঙ্গত,এই আশিষ দে এবার ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির রামসাগরের ৩৫ নাম্বার আসনে ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে বিজেপি প্রার্থী অঞ্জন নাগ চৌধুরীর কাছে ৭৮৯ ভোটে হেরেছেন।এই দুর্নীতিবাজ নেতার ওপর মানুষের আস্থা নেই তা ভোটে প্রমাণ হতেই আশিষ দে কে গ্রেপ্তারের পথে হাঁটল প্রশাসন।এমনটাই মনে করছেন এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।
ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন,এই আশিষ কে আগেই গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।এতদিনে, প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।এদিকে,সুত্রের খবর, আশিষ বাবুর অনুগামীদের একাংশ মনে করছেন দল আশিষ বাবুর পাশ থেকে এবার সরে যাচ্ছে! তাই এই গ্রেপ্তারি। এখন দেখার,অ এই গ্রেপ্তারির পর তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব আশিষ বাবুকে সাসপেন্ড করার পথে হাঁটেন কিনা?
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇