জেলার হাতি প্রবণ এলাকায় ভোটারদের নিরপত্তা দেবে বন দপ্তরের ১০০ জনের বাহিনী,হাজির ঘুম পাড়ানি গুলি বিশেষজ্ঞ দলও।
বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও উমর ইমাম জানান, ভোটের দিন ভোটার এবং ভোট কর্মীদের ভীত হওয়ার কোন কারণ নেই।বন দপ্তর নিরাপত্তার জন্য তৈরি আছে।ঘুম পাড়ানি গুলি বিশেষজ্ঞ সহ ১০০ জনের বিশেষ বাহিনী এদিন হাতি ঠেকানোর কাজ করবেন।
বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন : জেলায় এখন দল হাতি নেই।তবে বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জে যে ৫ টি আবাসিক হাতি ও একটি দলছুট হাতি রয়েছে তাদের হানাদারি ঠেকাতে ভোটের দিন কোমর বেঁধে নামছে বন দপ্তর৷ বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জ মিলিয়ে প্রায় ১০০ জনের বাহিনী হাতি ঠেকানোর কাজ করবে। এই বাহিনীতে স্থানীয় হুলা পার্টি যেমন আছেন তেমনি কলকাতা থেকে ট্রাঙ্কুলাইজ টিম অঅর্থাৎ ঘুম পাড়ানি গুলি বিশেষজ্ঞ দলও থাকছে। যদি পরিস্থিতি জটিল আকার নেয় সেক্ষেত্রে হাতির আক্রমণ থেকে ভোটার বা ভোটকর্মীদের বাঁচাতে হাতিকে গুলি করে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে।
ভোটের দিন জেলার উত্তর বন বিভাগের পাবয়া,সাহারজোড়া,শালুকা,বড়জোড়া,বেলিয়াতোড় এলাকার জঙ্গল লগোয়া এলাকায় হাতিদের ওপর নজরদারি চালানো হবে। এবং এই নজরদারি চালানো হবে বন দপ্তরের বিশেষ ঐরাবত যানে চড়ে। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও উমর ইমাম জানান, ভোটের দিন ভোটার এবং ভোট কর্মীদের ভীত হওয়ার কোন কারণ নেই।বন দপ্তর নিরাপত্তার জন্য তৈরি আছে।এদিন ১৫ জনের এক একটি দল থাকবে। তারা হাতি ঠেকানোর কাজ করবেন।আর হুলা পার্টির সদস্যরা পালা করে কাজ করবেন। যাতে তারা নিজেদের ভোটও দিতে পারেন।
এক দল ভোট দিয়ে এসে কাজে যোগ দেবেন তখন আর এক দল ভোট দিতে যাবেন।এভাবে পুরো দিন পর্যায়ক্রমে কাজ করবেন তারা। আর সন্ধের দিকে যেহেতু হাতিদের জঙ্গল থেকে লোকালয়ে হানার প্রবণতা বেশী তায় বিকেল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।প্রসঙ্গত, এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে এভাবেই কাজ করেছিল বন দপ্তর। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা বন দপ্তরের ওপর আস্থা রাখছেন। তাদের বিশ্বাস ভোটের দিন তারা নিরাপদেই ভোট দিতে পারবেন।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇