#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পুর ভোটের আগে সিএএ,এনআরসি এবং এনপিআর ইস্যুতে শহরের পথে নামল বামফ্রন্ট। শহর জুড়ে নো এনআরসি,নো সিএএ এবং নো এনপিআরের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে বামফ্রন্টের ব্যানারে আজ বাঁকুড় রেল স্টেশন থেকে জেলাশাসকের অফিস পর্যন্ত মিছিলে সামিল হন বাম সমর্থকরা। এবং জেলা শাসকের অফিসে দেওয়া হয় গণ ডেপুটেশনও।
বাম শরিক সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতির দাবী, এনপিআর নিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এই বিভ্রান্তি দুর করতে পারছেন না। আমরা আজ এই কর্মসুচীর মাধ্যমে জেলা শাসকের কাছে জানতে এসেছি এই জেলায় এনপিআর হবে কি, হবে না? রাজ্য সরকার মুখে হবে না বললেও আমদের বিভ্রান্তি কাটেনি। ফলে জেলা শাসকের কাছে আমরা যেমন আজ দরবার করেছি, তেমনি এনপিআর লাগু করার চেষ্টা যদি হয়, তাহলে মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা তা ঠেকানোরও ব্যবস্থা করে রেখেছি।
অন্যদিকে, শহরের বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবী, বামেরা শাসক দলের পুরসভার দূর্নীতি, স্বজন পোষনের মতো ইস্যু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে এখন এনপিআর নিয়ে বাজার গরম করতে চাইলেও শহরের মানুষ যে, তাদের সাথে নেই তা লোকসভা ভোটে প্রমাণিত। আর পুরভোটে বিজেপি আরও ভালো ফল করবে। যদিও তৃণমূলের দাবী, বাম,বিজেপি বড়ো বিষয় নয়, শহরের মানুষ গত ৫ বছরে শহরের উন্নয়নের নিরিখে তাদেকেই ভোট দেবেন।
এদিকে, জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,শহরের ভোটে এনআরসি,এনপিআর এবং সিএএ ইস্যু বিজেপি বিরোধী দল গুলি কতখানি ভোটের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতে পারে তার ওপর বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক অনেকখানি নির্ভর করছে। আর বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে বামেরা ভাগ বসালে আখেরে লাভ হবে তৃণমূলেরই। সেক্ষেত্রে শহর ফের দখলে রাখার কাজটা সহজ হয়ে যাবে শাসক দলের কাছে।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]