কুমারী পুজোর পাশাপাশি,এখানে আজও পালিত হয় সুবচনী,বাঁকুড়া শহরের ঘটক পাড়ার প্রায় ৪৫০ বছরের প্রাচীন দুর্গা দালানে বাঁকুড়া২৪X৭ এর ক্যামেরা।
ঘটক পরিবারের সদস্য,সদস্যারা ছড়িয়ে আছেন দেশ ও বিদেশের নানা প্রান্তে। তবে,পুজো উপলক্ষে তারা ফেরেন ঘটক পাড়ায়।একসাথে এই কদিন সকলে মিলে যান একান্নবর্তী পরিবারের বাতাবরনে।আর উপভোগ করেন মহাপুজোর আনন্দ।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া শহরের অতি প্রাচীন একটি জনপদ ঘটক পাড়া।এখানে ঘটক বাড়ীর দুর্গাপুজোর ইতিহাস প্রায় সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন। যদিও প্রাচীন মন্দিরটির সংস্কার করা হয়েছে।তবে, এখনও হাতে লেখা পুঁথি দেখে দেবীর পুজো অর্চনা করে আসছেন পুরোহিত শান্তিময় চট্টরাজ। প্রায় চার পুরুষ ধরে এই পুজো করে আসছেন চট্টরাজ পরিবার। ঘটক বাড়ির এই পুজোয় জাঁকজমক,আড়ম্বরের চেয়ে নিয়ম,নিষ্ঠার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই মন্দিরে গনেশের ঘটের জলে স্নান করলে বিবাহিত মহিলারা পুত্র সন্তান লাভ করেন, এমন লোকবিশ্বাস- আজও চলে আসছে।দেবীর কাছে নিষ্ঠা ভরে প্রার্থনা করলে মনের ইচ্ছাও পূর্ণ হয়।
ইতিহাসের চাকা ৪৫০ বছর গড়ালেও এই মন্দিরে দেবীর একচালার প্রতিমার কোন বদল ঘটেনি।একই আদলে বংশ পরম্পরায় এই প্রতিমা গড়ে আসছেন মৃৎশিল্পী।বর্তমানে পুজো পরিচালনার অন্যতম কর্মকর্তা অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন,এই পুজোতে সময় ও তিথি মেনে প্রতিটি পুজো সারা হয়।নবমীর দিন কুমারী পুজোর রিতী রয়েছে।এবছর দুটি নাবালিকা কুমারী হিসেবে পুজিতা হন।আর আছে, সুবচনী।প্রায় শ'দেড়েক বিবাহিতা মহিলা নবমী তিথিতে মন্ডপ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাদের পায়ে আলতা পরানো ও তেল মাখানো এবং সিন্দুর পরানোর প্রথা চলে আসছে প্রাচীন কাল থেকে।মহিলাদের নান বস্ত্র সহ উপঢৌকন দেওয়া হয়।
যত দিন গড়িয়েছে একান্নবর্তী ঘটক পরিবারও ছোট ভাগে বিভক্ত হয়েছে আর পাঁচটা পরিবারের মতো।এখন এই পরিবারের সদস্য,সদস্যারা ছড়িয়ে আছেন দেশ ও বিদেশের নানা প্রান্তে। তবে, পুজো উপলক্ষে তারা ফেরেন ঘটক পাড়ায়।একসাথে এই কদিন সকলে মিলে যান একান্নবর্তী পরিবারের বাতাবরনে।আর উপভোগ করেন মহাপুজোর আনন্দ। বাঁকুড়া শহরের প্রচীন এই দুর্গা দালানে গাঁথা আছে ফেলে আসা দিনের নানান ইতিহাস।পুজোর কটা দিন,সেই ইতিহাসের পাঠ নেন নয়া প্রজন্মের কান্ডারীরাও।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇