বাঁকুড়ার দুই ওয়ার্ডে প্রয়াত প্রাক্তন দুই পুর প্রধানের স্মৃতি আঁকড়ে ভোটের লড়াইয়ে পরিবারের দুই উত্তরসূরি।
বাঁকুড়া২৪X৭,প্রতিবেদন : বাঁকুড়া পুর শহরের বাসিন্দাদের মুখে,মুখে ফেরে প্রয়াত দুই পুর প্রধান দেব প্রসাদ (তারা) কুন্ডু ও শান্তি সিনহার নাম।বাঁকুড়া শহরের উন্নয়নে এই দুই ব্যক্তির যথেষ্ট অবদানও রয়েছে। সম্প্রতি এই দুইজনই প্রয়াত হন। আর প্রয়াত এই দুই জনপ্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেব প্রসাদ কুন্ডুর পুত্রবধূ আমৃতা কুন্ডু কে শহরের চার নাম্বার ওয়ার্ডে এবং শান্তি সিনহার পুত্র বিশ্বনাথ সিনহাকে প্রার্থী করেন। ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে এই দুই প্রার্থীই ওয়ার্ডের দুয়ারে,দুয়ারে প্রচার সারলেন।চার নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অমৃতা গরাই কুন্ডু সাত সকালেই বাড়ীর শিব ও কালী মন্দিরে পুজো- পাঠ সেরে তবেই প্রচারে বের হন।
এটাই তার রুটিন। পাশাপাশি, প্রয়াত শ্বশুর মশাই দেব প্রসাদ বাবুর ছবিতে মালা দিয়ে প্রণাম সারেন। আর প্রয়াত দেব প্রসাদ বাবুর স্ত্রী অর্থাৎ অমৃতার শ্বাশুড়ি মাতার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পাড়ায়,পাড়ায় ভোটের প্রচারে। প্রচারের শেষ দিনেও এই একই চিত্র ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। ভোটের লড়াইয়ের মধ্যেও প্রয়াত দেব প্রসাদ বাবুর নানা স্মৃতি মনে পড়ে অমৃতার। সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে অজান্তেই চোখের জল গড়িয়ে পড়ে৷ পাড়ায়,পাড়ায় প্রচারে গিতেও পড়শীরা প্রয়াত শ্বশুর মহাশয়ের নানা স্মৃতি রোমন্থন করেন অমৃতার কাছে। এমন ঘটনা গুলোয় ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের শক্তি যোগাচ্ছে অমৃতাকে। তার দৃঢ় বিশ্বাস এই ওয়ার্ডের মানুষ তাকে উজাড় করে ভোট দিয়ে জন সেবার সুযোগ করে দেবেন।
শ্বশুর মশাইয়ের এই ওয়ার্ডকে আদর্শ ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে ত্যলার যে স্বপ্ন আধরাই থেকে গিয়েছিল তা পূরন করবেন তিনি। অন্যদিকে,শহরের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত শান্তি সিনহার পুত্র বিশ্বনাথ সিনহাও বাবার স্মৃতি আঁকড়ে ভোটের লড়াইয়ে জেতার জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন৷ বিশ্বনাথ বাবুর সেই অর্থে রাজনীতির সাথে সরাসরি যোগ ছিল না। যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছেন, তাই প্রয়াত পিতার আদর্শ কে পাথেয় করে তিনি ভোট বৈতরণি পার হতে চাইছেন। প্রয়াত বাবার ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে ভোট প্রচারে বেরিয়ে পড়েন বিশ্বনাথ বাবু। প্রচারের শেষ লগ্নেও এদিন বাড়ী,বাড়ী চুটিয়ে প্রচার সারলেন তিনি।
বিশ্বনাথ বাবু তার জয় সম্পর্কে একশো শতাংশ আশাবাদী এমনটাই জানালেন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। এই দুই ওয়ার্ডেরই দুই প্রার্থীর রাজনৈতিক সক্রিয়তার ক্ষেত্রে খানিক ঘাটতি থাকলেও প্রয়াত পূর্বসূরিদের রাজনৈতিক সাফল্য ও পরিচিতিকে পুঁজি করেই ভোটের ময়দানে জয়ী হবেন বলে দাবী তাদের অনুগামীদের। যদিও বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা ভোটে ইতিমধ্যেই কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। এখন দেখার, এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় শেষ হাসি কে হাসেন? সেদিকেই নজর রইল সবার।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇