অমিত শাহকে পাল্টা জবাব দিতে বাঁকুড়ার সভা মুখ্যমন্ত্রীর,দুই দিনের জেলা সফরে থাকছে প্রশাসনিক বৈঠকও।

এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর যে কর্মসুচী ঠিক হয়েছে তা হল,তিনি জেলায় আসবেন ২৪ নভেম্বর। এবং ২৪ তারিখ জেলার জঙ্গলমহলের খাতড়া মহকুমায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। এর পরের দিন ২৫ নভেম্বর তিনি জনসভায় যোগ দেবেন। জেলার ১ নাম্বার ব্লকের শুনুকপাহাড়ীর হাটতলার মাঠ এই জনসভার প্রস্তাবিত স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।

Update: 2020-11-18 16:30 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়ায় বীরসা মুন্ডার মূর্তি বিতর্ক নিয়ে যখন জেলার রাজনীতি সরগরম ঠিক সেই সময় দুদিনের জেলা সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, জেলায় এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মমতার সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দেওয়ার পাশাপাশি দাবী করেন,মমতা দিদির সরকারের মৃত্যুঘন্টা বেজে গেছে। ২১ এর বিধানভায় বহুমত হাসিল করে সরকার গড়বে বিজেপি।


 অমিত শাহ এই হুঙ্কারের রেশ কাটতে না কাটতেই জেলায় আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা,বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি জেলায় এসে, অমিত শাহের হুঙ্কারের পালটা কী জবাব দেন? সেদিকে তাকিয়ে আছে জেলার রাজনৈতিক মহলও। এর ওপর রয়েছে বীরসা মুন্ডা মূর্তি বিতর্ক।

 দলীয় সূত্র জানা গেছে, জেলার শুনুকপাহাড়ীতে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করবেন। সে জন্য আজ তৃণমূল নেতৃত্ব সভার স্থান নির্বাচন করতে শুনুকপাহাড়ী হাটতলা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি,প্রস্তাবিত সভাস্থল ঘুরে দেখেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও।

এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর যে কর্মসুচী ঠিক হয়েছে তা হল,তিনি জেলায় আসবেন ২৪ নভেম্বর। এবং ২৪ তারিখ জেলার জঙ্গলমহলের খাতড়া মহকুমায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। এর পরের দিন ২৫ নভেম্বর তিনি জনসভায় যোগ দেবেন। জেলার ১ নাম্বার ব্লকের শুনুকপাহাড়ীর হাটতলার মাঠ এই জনসভার প্রস্তাবিত স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি, তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।

এদিকে,মুখ্যমন্ত্রীর এই সভাকে ঘিরে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে দলীয় স্তরে।পাশাপাশি, প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে জেলার সব লাইন ডিপার্টমেন্ট গুলিও আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।


 বিধানসভা ভোটের আগে জেলার উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজের হাল হকীকত জানার সাথে,সাথে, জেলায় ১০০ দিনের কাজ, জঙ্গলমহলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেবেন মুখ্যমন্ত্রী তা বলাই বাহুল্য।

এদিকে,দলের বিধানসভাওয়াড়ী উন্নয়নের খতিয়ান খতিয়ে দেখার পাশাপাশি,জেলার তিন পুরসভা ও জিলা পরিষদের উন্নয়নের কাজে ঘাটতি যে তিনি কোন মতেই রেয়াত করবেন না এমনটাও মনে করা হচ্ছে। গত প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়া পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগেই বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে মহাপ্রসাদ বাবুকে সরিয়ে জেলার মহিলা নেত্রী অলকা সেন মজুমদারকে বসানো হয়েছে। তাই, বিধানসভার ভোটের আগে জেলার সদরে পুরবাসীদের পরিষেবা যথাযথ দেওয়ার দাওয়াই যে মুখ্যমন্ত্রী অলকা দেবীকেও দেবেন তাও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এখন দেখার, তিনি কার কাজে তুষ্ট ও কার কাজে রুষ্ট হন? তা নিয়েও জোর জল্পনা চলছে তৃণমূলের অন্দরমহলেও।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News