পাত্রসায়রের বেলুটে তৃণমূল পার্টি অফিস ও কর্মীর বাড়ীতে হামলার ঘটনায় উত্তেজনা,অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নুতন বছরের রাতেই রাজনৈতিক হামলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল জেলার পাত্রসায়রের বেলুট রসুলপুর গ্রাম। ওই দিন রাতে,একদল দুষ্কৃতি তৃণমূলের স্থানীয় পার্টি অফিসে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এর পর তারা হানা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক সক্রিয় কর্মী সুপ্রিয় চক্রবর্তীর বাড়ীতে। সেখানেও চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি সুপ্রিয়কে মারধর করা হয় ।
এমনকি সুপ্রিয় বাবুর বোন সুপ্রিয়কে বাঁচাতে গেলে তার হাতে ধারাল অস্ত্রের আঘাত লাগে। মহিলা হয়েও তাকে ছাড় দেয়নি হামলাকারীরা। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তেজনা ছড়ায় পুরো গ্রাম জুড়ে। শুক্রবার সকালেও উতপ্ত হয়ে আছে এই গ্রাম। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আংগুল তুলেছে তৃণমূল।
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন,হাটতলায় তিনি বসেছিলেন।আচমকা তার ওপর আক্রমণ চালায় বিজেপির লোকজন।নিজেকে বাঁচাতে ছুটে বাড়ী চলে এলে তারা বাড়ীতে তান্ডব চালায়। এবং মারধর করে। এবং তার বোন তাকে বাঁচাতে গেলে বোনের হাতে অস্ত্রের কোপ মারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা।এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলছে পুরোদমে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এই ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করে বলেন,বাংলায় তারা ক্ষমতায় আসছে না এটা বুঝে গিয়েই এখন গ্রামে,গ্রামে আশান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে নেমে পড়েছে। যদিও,শ্যামল বাবুর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপী হজরা তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে মারামারি করে তা বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে সংবাদ শিরোনাম আসার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু তাতে কোন লাভ নেই এবার বাংলায় আসল পরির্তন হচ্ছেই।
ভোট পরবর্তী হিংসার আঁচ নুতন বছরের রাতেই ছড়িতে পড়ল পাত্রসায়রের বেলুট রসুলপুরে।আজ সকালেও গ্রাম জুড়ে রয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এখন দেখার এই উত্তেজনা কমে কিনা! তার ওপরই নির্ভর করছে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা।
👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇