খাতড়ায় বিজেপি নেতা শ্যামল সরকারের ওপর হামলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাও যোগের অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক হামলার ঘটনায় উতপ্ত হল জঙ্গলমহলের মহকুমা সদর খাতড়া।শনিবার রাতে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শ্যামল সরকারের ওপর এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাওবাদী ও গুন্ডা বাহিনীর যোগের ত্বত্ত্ব খাড়া করে সরব হলেন বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।যদিও বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সহরের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজনৈতিক হামলার ঘটনায় উতপ্ত হল জঙ্গলমহলের মহকুমা সদর খাতড়া। বিজেপি বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শ্যামল সরকারের ওপর এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাওবাদী ও গুন্ডা বাহিনীর যোগের ত্বত্ত্ব খাড়া করে সরব হলেন বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের ব্যবহার করার দাবী তুলেছেন।
প্রসঙ্গত,একসময়ের তৃণমূলের দাপুটে নেতা শ্যামল ওরফে বেনু সরকার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে জঙ্গলমহলে বিজেপি সংগঠন গড়ে তুলেছেন তার সাংগঠনিক ক্ষমতায়। যার ফলে খাতড়া মহকুমায় বিজেপি তাদের ভিত মজবুত করছে দিন,দিন।এই অবস্থায় শনিবার রাতে তার দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা কালীন একদল দুষ্কৃতি শ্যামল বাবুর ওপর লাঠি,রড নিয়ে হামলা চালায়।
কোনক্রমে তিনি, তা প্রতিহত করে প্রাণে বাঁচেন। এই সময় তাকে মারধরের পর দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরও চালনো হয়। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি মাটিতে ফেলে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ভাঙ্গা হয় টিভি সহ অন্যান্য আসবাব পত্রও। এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের তীর শ্যামল সরকার ওরফে বেনু বাবুর।
যদিও,জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বিজেপির তোলা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কর্মী বা সমর্থক যুক্ত নয়। এই ঘটনা বিজেপির নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জের। তা তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেষ্টা করছে ভেকধারী পার্টি বিজেপি। কিন্তু মানুষ তাদের দাঙ্গার রাজনীতি কে বাংলায় প্রশ্রয় দেবে না।
বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসবে, ততই জেলার জঙ্গল মহলেও রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়বে! এমন ইঙ্গিত মিলল এই হামলার ঘটনায়। অভিমত, জেলার রাজনৈতিক বোদ্ধাদের। এখন দেখার ভোটকে কেন্দ্র করে ফের জেলার জঙ্গলমহল কতখানি অশান্ত হয়ে ওঠে? সেদিকেই নজর রইল সবার। তা বলাই বাহুল্য।
দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇