হাতির পায়ে লোহার চেনের ঘষা লেগে ক্ষত,ঘুম পাড়ানি গুলি করেও খোলা গেল না চেন! সাতদিন পর ফের চেষ্টা,কলকাতা থেকে আসছে বিশেষজ্ঞ দল।

Update: 2021-05-05 01:00 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দাঁতালের পায়ে লোহার চেন! দীর্ঘদিন ধরে এই লোহার চেনের সাথে পায়ের ত্বকের ঘষা লাগায় সৃষ্টি হয়েছে ক্ষতের। আর এই ক্ষতে সংক্রমণও রয়েছে। এই অবস্থায় হাতিটি পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে বাঁকুড়ার ঢুকে পড়ে। হাতিটির ডান পায়ের এই চেন তার স্বাভাবিক চলাফেরাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।


 বন দপ্তর এই হাতির পা থেকে লোহার চেন খুলে ফেলে, ক্ষতের চিকিৎসা করতে আজ সোনামুখী রেঞ্জের ভুলা পাতলার জঙ্গলে দু দুটি ঘুম পাড়ানো গুলি করে। কিন্তু তা বিফলে যায়। গুলি করার পর পশু চিকিৎসকরা ক্ষতে এন্টিবায়োটিক লাগালেও চেন খোলার তোড়জোড় শুরু করতেই হাতির ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর হাতিটি সতেজ হতেই বন দপ্তর পিছু হটতে বাধ্য হয়। বন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে ফের দিন সাত পর আবার এই লোহার চেন খোলার চেষ্টা,চালানো হবে।

আর সেক্ষেত্রে পুরোপুরি সফল হতে কলকাতা থেকে ঘুম পাড়ানি গুলি বিশেষজ্ঞ এবং চার থেকে পাঁচ জনের সার্জেন টিম আনা হবে। এই দল গুলি করে হাতিটির ডান পায়ের লোহার চেন খোলার পাশাপাশি পায়ের ক্ষত সারাতে চিকিৎসাও করবেন। কি ভাবে এই হাতির পায়ে লোহার চেন জড়াল তা নিয়েএখন,সবার কৌতুহল জাগছে নিশ্চয়!


 আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই কারণ। প্রায় এক বছর আগের ঘটনা। আসানসোল থেকে এই হাতিটি দাফিয়ে বেড়াচ্ছিল। বন দপ্তর তাই হাতিটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে লরিতে চাপিয়ে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। আর হাতির অয়ায়ে বাঁধা ছিল লোহার চেন। জঙ্গলে ছাড়ার আগে বন কর্মীরা বাঁ পায়ের চেন কেটে যখন ডান পায়ের চেন খোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ঠিক তখনই জেগে গিয়ে সতেজ হয়ে পড়ে হাতিটি।

 ফলেএক পায়ে লোহার চেন বাঁধা অবস্থায় জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সেই থেকে এই প্রাপ্ত বয়ষ্ক পুরুষ হাতিটি এক পায়ে লোহার চেন বাঁধা অবস্থাতেই প্রায় এক বছর দক্ষিণ বঙ্গে ঘোরাঘুরি করছে। গত দিন ৫ আগে এই হাতিটি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়ে।


 বাঁকুড়া বন দপ্তর এই চেন মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো চেষ্টা চালালেও অল্পের জন্য তা বিফলে যায়। তবে তাতে হাল ছাড়ছেন না বন দপ্তরের আধিকারিকরা। ফের দিন সাত পরে এই চেন খুলতে বড়ো অপারেশন নামছেন তারা।

👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News