একদিনে কোভিডে ৩ জনের মৃত্যু জেলায়,কমল সংক্রমণের হার, একদিনে ছাড়া পেলেন ৪২২ জন।
বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন : জেলায় একদিনে ৩ কোভিড রোগীর মৃত্যু হল। আর ৯ তারিখে নুতন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৮ জন। যা, ৮ তারিখের জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার তুলনায় খানিক কম। ৮ তারিখ যেখানে নুতন করে আক্রান্ত ছিলেন ৫১১ তা কমে এখন হয়েছে একদিনে ৪১৮ জন।
পাশাপাশি, একদিনে আক্রান্তের তুলনায় সেরে ওঠার সংখ্যা বেশী। ৯ তারিখ জেলায় একলপ্তে সেরে উঠেছেন ৪২২ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী। এবং জেলায় সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২৭৫৬ জন। জেলায় এখন মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,৪৪৭। এবং মোট সেরে উঠেছেন ১৬,৫৬০ জন। আর এপর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে অন্ততপক্ষে ১৩১ জনের। এই তথ্য রাজ্য সরকারের কীভিড বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এর বাইরেও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়ে কোভিড পরীক্ষা না করানোয় তা হিসেবের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেবা বলে মনে করা,হচ্ছে। জেলায় মৃত্যুও ঘটছে। কিন্তু কোভিড আক্রান্তদের যাদের কোমোর্বিডিটি ছিল,তাদের কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও মৃত্যুর হিসেবে ধরা হচ্ছেনা। তাই বুলেটিনে প্রকৃত কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত হিসেবে কম সংখ্যা উল্লেখ থাকছে এটা বলাই বাহুল্য। এদিকে,এই নুতন মিউটেড কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গেও আমুল পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রথম চার,পাঁচ দিনে রোগের প্রকোপ কম থাকলেও তার পর হটাৎ বাড়াবাড়ি হচ্ছে। প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং আচমকা স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হচ্ছে। ভেণ্টিলেশনে বা সিসিইউতে রেখেও বাঁচানো যাচ্ছে না রোগীদের। চিকিৎসকরে অনেকেই জানাচ্ছেন রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটায় হৃদযন্ত্র বিকল হয়েও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
এই দ্বিতীয় কোভিড আক্রান্ত রোগীর এত দ্রুত অবস্থার অবনতি ঘটে যাচ্ছে যে, রোগী ও চিকিৎসক টের পেতে না পেতেই রোগীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে কোভিড। লড়াই করার সুযোগই মিলছে না। তাই এই অবস্থাতে একমাত্র বাঁচার উপায় মাস্ক ব্যবহার করা এবং একে,অপরের সাথে দুরত্বে রাখা। এখন ৬ ফুট দুরেও কোভিড ছড়াচ্ছে। ভাইরাস মিশে যাচ্ছে বাতাসেও। তার ওপর কোভিডের নয়া স্ট্রেইন নিজেকে বদলে ফেলে আরও রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা নিয়ে প্রাণঘাতী হয়ে ফিরে এসেছে দেশে। এটাই বড়ো বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নয়া স্ট্রেইন টীকাতে কতটা কাবু হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ফলে সব মিলিয়ে দেশের কীভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এখন কি কেন্দ্র, কি রাজ্য দুই সরকারের কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলাতে আমরা আম জনটাও সরকারের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এবং কোভিড সতর্কতা বিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করি। সবার কাছে এই অনুরোধ রইল।
সর্বদা সতর্ক থাকুন,কোভিডের সাথে লড়াই জারি রাখুন। অযথা গুজবে কান দেবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। কোভিড পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন,স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল, চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। সাহায্য নিতে পারেন পুলিশের। কোন মতেই হাতুড়ে ডাক্তার, তুকতাক,ঝাড়ফুঁকে কোভিডের চিকিৎসা করানোর পথে না গিয়ে সরকারি স্বীকৃত ডাক্তারের কাছে যান। চিকিৎসা করান। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক মনে হলে সাথে,সাথে কোভিড হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করুন।