পুজোর চার দিন জেলায় কতটা সংক্রমণ ছড়াল করোনা? প্রাণ হারালেনই বা কজন? বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।

জেলায় দুর্গা পুজোর চার দিনে নুতন করে কোভিড আক্রান্ত ৩৭০ জন।সব চেয়ে বেশী আক্রান্ত নবমীতে, এদিন ১১৫ জন আক্রান্ত হন।পাশাপাশি, দশমীর দিন জেলায় কোভিড জোড়া প্রাণ কেড়ে নেয়।

Update: 2020-10-28 06:27 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পুজোর চারদিন একই ভাবে জেলায় দাপট জারী রাখল করোনা। এবং নবমীর দিন জেলার গড় সংক্রমণের হার ছাপিয়ে এক ধাক্কায় তা ১১৫ তে গিয়ে দাঁড়ায়। আর দশমীর দিনও নুতম করে আক্রান্ত হন ৯২ জন। অষ্টমীর দিন একদুনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৮ জন। এবং সপ্তমীর দিন তুলনাই আক্রান্তের সংখ্যা খানিক কম ছিল। এদিন নুতন করে আক্রান্ত হন ৭৭ জন। ফলে পুজোর চার দিন জেলায় নুতন করে মোট কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭০ জন। এই পরিসংখ্যান থেকে এটা পরিস্কার যে সপ্তমী থেকে পুজো যত গড়িয়েছে তত সংক্রমণ ছড়িয়েছে। নবমীতে তা শীর্ষে ওঠে। এক লাফে ১১৫ তে পৌঁছয়। দশমীতে তা সামান্য কমে ৯২ এ নেমে আসে। তবে এইদিন কোভিডে দুজনের মৃত্যুও হয়। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭৩ জন।

পাশাপাশি, মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৫৬০ জন। তবে এর সাথে সুস্থতার হারও আশাব্যঞ্জক। চার দিনে জেলায় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ২৬৯ জন। অষ্টমীর দিন সব থেকে বেশী সংখ্যক ৯৩ জনের কোভিড মুক্তি ঘটে। এপর্যন্ত জেলায় মোট সেরে ওঠার সংখ্যা বেড়ে হল ৬,৬৫৫ জন এদিকে,স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে অনুযায়ী জেলায় এপর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৩২ জন। কোভিড হাসপাতালের পাশাপাশি সেফ হাউসে ও নিজের বাড়ীতে থেকেও অনেক রোগীর চিকিৎসা চলছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে। জেলায় গত ১৫ দিনে গড়ে ৮০ জন করে নুতন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সবে পুজো শেষ হল। তাই আরও কটা দিন পার হলে জেলায় কোভিড কতখানি সংক্রমণ ছড়য়েছে তা প্রকাশ পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

দুর্গাপুজোর পর এবার লক্ষ্মী পুজো ও দীপাবলীর উৎসব। তাই কোভিড সতর্কতা বিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মেনে চললে ফের জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। তাই জেলাবাসীকে আরও সতর্ক হতেই হবে তা বলাই বাহুল্য।

দেখুন 🎦 ভিডিও 👇

Full View


Tags:    

Similar News