সাধারণের জন্য লক্ষ্যাতড়া শ্মশানে শবদাহ বন্ধের নির্দেশ বাঁকুড়া পৌরাসভার, কেন এই সিদ্ধান্ত?জেনে নিন।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কোভিডের দ্বিতীয় ঢেও আছড়ে পড়ার পর বাঁকুড়াতেও বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাঁকুড়া পুর শহরের লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লীতে শবদাহের চাপ বাড়ে।এর জেরে টানা কদিন ধরে বিকল হয়ে গিয়েছে এই ইলেকট্রিক চুল্লীটি।এবং টানা দুদিন ধরে চুল্লীতে শব দাহের কাজ বন্ধ আছে।
এই চুল্লী সারাইয়ের জন্য কলকাতার দায়িত্ব প্রাপ্ত এজেন্সিকে খবর দেওয়া হলেও তারা কোভিড পরিস্থিতিতে রাতারাতি বাঁকুড়া এসে সারাইয়ের কাজ করতে অপারগ তা জানিয়ে দিয়েছে। এবং এই চুল্লী সারতে কমকরে ১০ থেকে ১২ দিন অপেক্ষা করতে হবে পুরসভাকে।তাই অবশেষে লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশানকে কেবল মাত্র কোভিড শ্মশান হিসেবে অন্তত দিন ১৫ ব্যবহার করার সিধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা।
এবং ওন্দা কোভিড হাসপাতালের মৃতদেহও এই কদিন বিষ্ণুপুরে চুল্লীতে পোড়ানো হবে।বাকী শহর ও শহর লাগোয়া এলাকার কোভিডে মৃত শবদাহ লক্ষ্যাতড়া শ্মশানে কাঠের চুল্লীতেই সারবে পুরসভা। সেজন্য এখানে পাঁচটি চিতা ব্যবহার করা হবে। আর যদি মৃতের সংখ্যা বেশী হয় সেক্ষেত্রে নদীর চরে গণদাহের বিকল্প ব্যবস্থা রাখছে পুরসভা।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের পক্ষে দিলীপ আগরওয়াল জানান, লক্ষ্যতড়ায় কেবল কোভিডে মৃত শব দাহের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। অন্যান্য সাধারণ মৃত্যুতে শবদাহের জন্য রামপুর পলাশতলা, নুতনচটি, লোকপুর,মিনাপুর ও শহর লাগোয়া,গ্রামের স্থানীয় শ্মশানে ব্যবহার করতে হবে। আপাতত ১৫ দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা। তারপর চুল্লী সারাই হলে ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেবে পুরসভা।
👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇