বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ( বলরাম চক্রবর্তী, কোতুলপুর) : শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের।ছিনাথ বহুরূপী কে মনে আছে? আধো- আঁধারের মধ্যেই আচমকা ঘরের বারান্দায় লাফ দিল বাঘ।পিলসুজ জ্বেলে মেজদা তখন ভাইদের সা থে নিয়ে পড়তে বসেছিলেন।বাঘ লাফিয়ে পড়তেই পিলসুজ উলটে জ্ঞান হারালেন মেজদা। সড়কি লাও,বন্ধুক লাও.. আওয়াজ উঠল।
পশ্চিমি দারোয়ান বন্ধুক তাক করতেই কাঁদো,কাঁদো গলায় বাঘ বলে উঠল "আমি বাঘ নই,আমি ছিনাথ বহুরুপী "।তবে, আজকে কোতুলপুরের ছিনাথ বহুরুপী অবশ্য নিজে বহুরুপীর পরিচয় না দিয়ে, বরং বলে উঠলেন আমি করোনা।শুধু করোনাসুরই নয়, ছিনাথ বহুরূপীদের দলে ছিলেন যমরাজ,আর যমদুতেরাও।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ কোভিড সচেতনতায় নানা কর্মসুচী নিচ্ছে জেলা জুড়ে। কোতুলপুর থানা রবিবার সকালে এলাকায় কোভিড সতর্কতা বিধির পাঠ দিতে এবং মাস্ক পরার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে এমন অভিনব কর্মসুচী নেয়। আর এই কর্মসুচী সফল করতে কাজে লাগানো হয় এলাকার বহুরূপীদের। তারা করোনা, যমরাজ,যমদূত সেজে সারা কোতুলপুর বাজারে দাফিয়ে বেড়ান আর সচেতন করেন আম জনতাকে।
মাস্ক বিহীন পথচারীদের তেড়ে যান। পরিয়ে দেন মাস্কও। পাশাপাশি, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও বিলি করেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার। এই অভিনব কর্মসুচীতে অংশ নেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) গনেশ বিশ্বাস, বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান,ডিএসপি(ট্রাফিক)সুমনকান্তি ঘোষ,কোতুলপুরের সিআই দেবাশিস রায় ও কোতুলপুর থানার ওসি মানস চট্টোপাধ্যায়।ছিলেন কোতুলপুরের বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ ও বিএমওএইচ অরুণ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গনেশ বিশ্বাস বলেন, এই অবিনব প্রচারে ভালো সাড়া মিলছে। মানুষও সচেতন হচ্ছেন। আর মাস্ক মাস্ট সেই বার্তাও আমরা দিচ্ছি এই বহুরূপীদের মাধ্যমে।কোভিড আবহে এভাবে বহুরূপীদের কাজে লাগিয়ে একদিকে তাদেরও যেমন কিছুটা রুজি রুটির যোগাড় দেওয়া যাচ্ছে, তেমনি লুপ্ত প্রায় বহুরুপীর মতো গ্রামীণ বিনোদন সংস্কৃতিকেও ফের নুতন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি কোভিড সচেতনতার বার্তাও পৌঁছে যাচ্ছে দিব্যি। তাই কোতুলপুর থানার এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছি আমরাও।
👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇