আমফানের আস্ফালনে জেলায় নষ্ট প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকার ফসল। ভাঙ্গল সাড়ে চার হজার বাড়ী।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আমফানের আস্ফালনে জেলায় ব্যপক ক্ষতি হল বোরোধান আর তিল চাষে। জেলার সব ব্লকেই কম বেশী ক্ষয় ক্ষতি হলেও সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমা জুড়ে। জেলা কৃষি দপ্তরের প্রাথমিক হিসেবে ধান ও তিল মিলিয়ে জেলায় প্রায় ৩৪৬ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। জেলার উপকৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র জানিয়েছেন জেলায় ফসলের ক্ষয়,ক্ষতির যে হিসেব প্রাথমিক ভাবে মিলেছে তার নিরিখে ৩১ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান, ৩০ হাজার হেক্টর জমির তিল, সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির সব্জি, ১ হাজার ৬০০ হেক্টর ফলের বাগান ও ৭৬ হেক্টর জমির পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তবে, তিনি জানান সিংহভাগ চাষীর ফসল বীমার আওতায় থাকায় তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
অন্যদিকে, জেলার আবহাওয়া দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দিনভর গড়ে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩৫ কিলোমিটার।কখনও তা ৫০ কিমিও ছাড়িয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য সেই গতিবেগ দাঁড়ায় ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশী। বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫১.৪ মিলিমিটার। সারা জেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর,সোনামুখী এই তিন পুর শহরেও ছিল আমফানের দাপট। বিভিন্ন এলাকায় গাছ ভেঙ্গে পড়ে। সিভিল ডিফেন্স টিম রাতেও বিভিন্ন এলাকায় ভেঙ্গে পড়া গাছ সরানোর কাজে নেমে পড়ে। তবে জেলায় আমফানের জেরে গুরুতর আহত এবং মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]