শহর বাঁকুড়া

আপনি অবসাদগ্রস্ত এমন ট্যাটাস সোস্যাল সাইটে পোস্ট করলেই শিকার হতে পারেন মোমো চ্যালেঞ্জের ! সতর্ক করলেন পুলিশ সুপার।

আপনি অবসাদগ্রস্ত এমন ট্যাটাস সোস্যাল সাইটে পোস্ট করলেই শিকার হতে পারেন মোমো চ্যালেঞ্জের  ! সতর্ক করলেন পুলিশ সুপার।
X

সোস্যাল সাইটে আপনি অবসাদগ্রস্ত! এমন ট্যাটাস দিলেই মোমোর শিকার হতে পারেন! সতর্ক করলেন পুলিশ সুপার। জানালেন মোমোর হানা থেকে নিজেকে এড়ানোর উপায়ও। জেলায় এখন ও পর্যন্ত যে কজন মোমো গেম চ্যালেঞ্জ খেলার ডাক পেয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সোস্যাল সাইটে তাদের মন খারাপের বার্তা এবং মন তাদের যে ভালো নেই তেমন ট্যাটাস পোস্ট করার পরই তাদের মোবাইলে মোমো হানা দেয়।ওন্দার এক গৃহবধূ এবং বড়জোড়ার এক ছাত্রীর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে বলে পুলিশ সুপার সুখেদু হীরা জানিয়েছেন। মোমোর নেপথ্যের কুশীলবরা অবসাদগ্রস্ত ও দূবল মনের মানুষদের ফাঁদে ফেলার যেমন কৌশল নিয়েছে। পাশাপাশি আচমকা যে কোন লোকের মোবাইলেও হানা দিচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে মোবাইলের তথ্যও।গঙ্গাজলঘাটির এক যুবকের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। মোমো থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে তাই বেশ কিছু দাওয়াই দিয়েছেন পুলিশ সুপার। যেমন,নিজের অবসাদআও বিষাদের কথা সোস্যাল সাইটে প্রকাশ না করা। মোমোর কোনোর ম্যাসেজ মোবাইলে এলে তৎক্ষনাৎ ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া। মোমোর সাথে চ্যাট করে থাকলে মোবাইল ফরম্যাট করে নেওয়া। অজানা লিংক বা মোমোর কোন লিংক ওপেন না করা।পরিবারের কেও অস্বাভাবিক আচরণকরলে তাকে নজরে রাখা ও পুলিশ বা মনোবিদের সাহায্যে নেওয়া। এবং কোন রকম মোমোর মেরে ফেলার হুমকী বা ভয় ভীতি প্রদর্শন করলে সাথে, সাথে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো এবং অযথা মোমো নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। জেলায় মোমো হানার ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি ঘটনা পুলিশের নজরে এনেছেন আক্রান্তরা। অনেকেই পুলিশকে বিষয়টি জানানোর ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন না করে পুলিশের কাছে ঘটনা জানালে পুলিশ সব ধরনের সহায়তা করবে বলেও জানান সুখেন্দু বাবু। তাই মোমোর ভয় কাটিয়ে পাল্টা মোমোকেই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে এবার শহরবাসীর জোট বাঁধার পালা। তাহলেই পিছু হটবে মোমো..

Next Story