সৌমিত্র বনাম সুজাতার ভোটের লড়াইয়ের ফল কি হবে? আগাম জানিয়ে দিলেন সৌমিত্র খাঁ।
সৌমিত্র খাঁ নিজে মনে করছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতাকে তৃণমূল তার বিপক্ষে প্রার্থী করায় তার লড়াইটা আরোও সহজ করে দিল।সৌমিত্রের অভিমত সুজাতা সেই অর্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : গত লোকসভা ভোটে সৌমিত্রের জয়ের কান্ডারী ছিলেন সুজাতা। আইনি গেরোয় সৌমিত্র খাঁ নিজের এলাকায় ঢুকতে পর্যন্ত পারেন নি।কার্যত একা ভোটের প্রচার থেকে যাবতীয় কাজ সামলে ছিলেন সুজাতা দেবী।এবং জয় ছিনিয়ে এনেছিলেনও। তবে সে সব এখন অতীত।আইনি বিচ্ছেদের পর কার্যত সুজাতা দেবীর সাথে সৌমিত্রের সাপে - নেউলে সম্পর্ক।সৌমিত্রকে হারাতে এবার কোমর বেঁধে নামছেন তিনি।যদিও সৌমিত্র খাঁ নিজে মনে করছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতাকে তৃণমূল তার বিপক্ষে প্রার্থী করায় তার লড়াইটা আরোও সহজ করে দিল।ভোট ঘোষণার আগেই অনেক খানি চাপ মুক্ত হলেন তিনি।
সৌমিত্রের অভিমত: সুজাতা সেই অর্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়।তার সাথে রাজনৈতিক লড়াইয়ের বাতাবরণ নেই।যদি সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদেওয়া বিধায়ক হরকালী প্রতিহার প্রার্থী হতেন তাহলে লড়াইটা খানিক রাজনৈতিক রঙ পেত।তবে, হরকালী বাবুর প্রার্থী পদ না মেলায় তাঁকে ফের বিজেপিতে ফিরে আসারও আহবান জানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।সৌমিত্র বাবুর দাবি এবার তার জয়ের ব্যবধান অনেক বেড়ে যাবে।সুজাতা ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কেও প্রার্থী হলে সৌমিত্র বাবুর সমীক্ষায় মেরেকেটে লাখ দেড়ের ব্যবধানে বিজেপির জয় আসত।ব্যবধান খুব একটা বাড়ত না।
আর এখন সেই জায়গায় সুজাতা দেবী প্রর্থী হওয়ায় সৌমিত্র বাবুর জয় আসবে বিশাল মার্জিনে। সৌমিত্র বাবুর দাবি,এই জয়ের ব্যবধান চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে।এবং তা বাংলায় রেকর্ড গড়বে।যদিও,রাজনীতির আঙ্গিনায় একেবারে আনকোরা নন সুজাতা মন্ডল।তিনি গত লোকসভা ভোটে একাই সৌমিত্র খাঁয়ের ভোট মেশিনারি চালিয়ে ছিলেন। আরামবাগে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছেন তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে।এবং পঞ্চায়েত ভোটে জয়পুর থেকে বিজয়ী হয়ে এখন জিলা পরিষদের মৎস কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন সফল ভাবে।তাই এবার সৌমিত্র বনাম সুজাতার লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন বিষ্ণুপুরবাসী।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇