ভোটের তরজা : জেলায় নতুন শিল্প নেই!সুভাষ ও অরূপে চাপান উতোর।
সুভাষ বাবুর দাবি,তিনি বারে,বারে শিল্প আনার চেষ্টা করলেও তা বিফলে গেছে।এই রাজ্যে শিল্পপতিরা নাকি ভয়ে আসছেন না।তাই নতুন শিল্প স্থাপন করতে হলে বাংলায় পরিবর্তন দরকার।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : দিন,দিন নাকি জেলার শিল্প স্থাপনের পরিসর ছোট হতে হতে একেবারে শূন্যে ঠেকেছে!নতুন শিল্পও গড়ে উঠছে না তাই শ্রমিক,মজুরদের কাজও মিলছে না।বাঁকুড়া শহরের রানিগঞ্জ মোড়ে কাজের আশায় কাকভোর দেখে হাজির হন শয়ে,শয়ে শ্রমিক ও মজুর। তবে সবার সব দিন কাজ মেলে না।ভোটের আবহে এই সব শ্রমিক,মজুরদের রোজ নামচা চাক্ষুষ করার পাশাপাশি,তাদের সাথে সংযোগ সেরে রবিবাসরীয় ভোট প্রচার শুরু করেন বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। তিনি এদিন এই সব শ্রমিক,দিন মজুরদের পিএম বিশ্বকর্মা স্কীম নিয়েও সচেতন করলেন।
বিদায়ী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই শ্রমিক,দিন মজুরদের আক্ষেপ জেলায় নতুন শিল্প গড়ে ওঠেনি,তাই কাজও মিলছে না সুভাষ বাবুর দাবি,তিনি বারে,বারে শিল্প আনার চেষ্টা করলেও তা বিফলে গেছে।এই রাজ্যে শিল্পপতিরা নাকি ভয়ে আসছেন না।তাই নতুন শিল্প স্থাপন করতে হলে বাংলায় পরিবর্তন দরকার।এদিকে,আজ শহরের গোপীনাথপুর এলাকায় রবিবারের সকালে বাড়ি,বাড়ি ভোট প্রচারে বের হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তিনি স্থানীয় মন্দিরে পুজোও দেন এদিন।এমনকি চপ- মুডি দিয়ে প্রাতরাশও সারেন।তিনি সুভাষ বাবুর বক্তব্য খন্ডন করে বলেন, উনি তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।তো উনি কটা শিল্প করেছেন?
পাঁচ বছর কোথায় ছিলেন? কোভিডের সময় কোথায় ছিলেন?এখন ভোট আসতে শ্রমিক,মজুরদের কথা মনে পড়ছে।আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।উনি দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়ে কটা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় করেছেন? এসব ভোটের গিমিক বলে পালটা সুভাষ বাবুকে আক্রমণ করেন অরূপ বাবু।জেলায় কেন শিল্প গড়ে ওঠেনি? কোথায় গলদ? তা নিয়ে এতদিন অবশ্য কোন চর্চা হয়নি।দুয়ারে ভোট আসতেই ভোটের ইস্যুতে জায়গা করে নিয়েছে বাঁকুড়া গায়ে সেঁটে থাকা শিল্প বিহীন জেলার তকমা।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇