বাম-কুর্মিরা ভোটাভুটিতে বিরত,জঙ্গলমহলে গ্রাম ষোলোআনার গোজ প্রার্থীকে সাথে নিয়ে বোর্ড দখল করল তৃণমূল।
বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত ভোটে ভাবমূর্তি ভালো থাকা স্বত্বেও তৃণমূলের টিকিট মেলেনি। ক্ষোভে তৃণমূলের একাংশ ও গ্রাম ষোলোআনা নির্দল হিসেবে প্রার্থী করে সোমনাথ সিংহ মহাপাত্রকে। তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীকে পরাজিতও করেন এই গোজ প্রার্থী।তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের আগে এই গোজ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও এখন বোর্ড গঠনে এই প্রার্থীদের অবলম্বন করার পথেই হাঁটছেন। এমনই চিত্র ধরা পড়ল জেলার জঙ্গলমহলের সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।এখানে গ্রাম ষোলোআনার নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে,অঙ্কের নিরিখে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেঞ্জার জোনে আছে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক বোদ্ধারা। ২২ আসনের বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গেছে ৯ টি আসন,বিজেপি জয়ী হয় ৭ টি আসনে।সিপিএম দখল করে ২ টি আসন, এবং কুর্মি সমর্থিত প্রার্থীদের দখলে যায় ৩ টি আসন।আর বাকি একটি আসনে জয়ী হয় নির্দল গোজ প্রার্থী। গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড দখলের ভোটাভুটিতে বাম এবং কুর্মি প্রার্থীরা ভোট দানে বিরত থাকে। ফলে নির্দলকে সাথে নিয়ে তৃণমূল ১০টি ভোট পায়।অন্যদিকে,বিরোধী পক্ষ বিজেপির অনুকূলে যায় ৭ টি ভোট।
স্বাভাবিক ভাবেই ১০- ৭ এর ব্যবধানে তৃণমূল বোর্ড দখল করে।গ্রাম ষোলোআনার গোজ প্রার্থী সোমনাথ সিংহ মহাপাত্র নিজে স্বীকারও করে নেন তাকে দল টিকিট না দেওয়ায় গ্রাম ষোলোআনার সমর্থনে তিনি নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করেন।এবং বিজয়ী হন। অন্যদিকে,তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ফাল্গুনী সিংহ বাবু খুশী বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তাদের বোর্ড গঠন হওয়ায়।এদিকে,এখানকার স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ে গুঞ্জন তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও অনাস্থার ছায়া কিন্তু থেকেই গেল। ফলে বোর্ড ভাঙ্গার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার নয়! এখন দেখার তৃণমুল এই বোর্ডে নিজেদের দখলে কতদিন রাখতে পারে।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇