তৃণমূলে টিকিট অধরা, তাই সারেঙ্গায় দল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ তৃণমূলের বিদায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জেলার জঙ্গলমহলে তৃণমূল শিবিরে ভাঙ্গন। তৃণমূল কংগ্রেসের সারেঙ্গার মহিলা নেত্রী তথা সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান কৃষ্ণা দত্ত তার অনুগামীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করলেন। বুধবার এই তৃণমূল নেত্রীর হাতে জাতীয় কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বাঁকুড়া জেলা পঞ্চায়েত কমিটির চেয়ারম্যান নয়ন দাশ চক্রবর্তী। সদ্য তৃণমূল ত্যাগী নেত্রী অবশ্য নিজে স্বীকারও করে নেন যে,তৃণমূল তাকে প্রার্থীপদ এবার দেয়নি। তৃণমূলের জেলা থেকে যে প্রার্থী তালিকা ব্লকে এসেছে সেখানে তার নাম নেই। তাই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এবং তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল দল করে আসছেন। অথচ দল তার সাথে বেমানী করল। তার প্রতিশোধ নিতেই এই দলত্যাগ এবং তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজের জয় নিশ্চিত করার লড়াই তিনি এদিন থেকেই শুরু করলেন বলে সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেন। পাশাপাশি, কৃষ্ণা দেবী আশাবাদী তিনি এতদিন প্রধান হিসেবে সেভাবে কাজ করেছেন তার নিরিখে তাকে কাজের মানুষ হিসেবে গ্রামের মানুষ উজাড় করে ভোট দেবেন।এদিকে,জঙ্গলমহলে তৃণমূল শিবিরের এই ভাঙ্গনকে একেবারেই আমল দিতে চাইছেন না বাঁকুড়া জিলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তথা রাইপুরের বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু।
তিনি বলেন, নব জোয়ার কর্মসূচিতে এসে ভোট করে এবার প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় নাম না থাকার অর্থ কৃষ্ণা দেবীকে এলাকার মানুষ চান না।তিনি প্রধান ছিলেন।তাও তাকে দল প্রার্থী করেনি। নিশ্চয় জনমত তার বিপক্ষে গেছে।নইলে তিনি কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত।সেই কারনেই তাকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।তবে তিনি জাতীয় কংগ্রেসের যোগ দিয়েলেও তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন ক্ষতি হবে না।বরং আরো বেশী মার্জিনে তৃণমূল প্রার্থী জিতবে এই আসনে।এদিকে,তৃণমূলের ঘর ভেঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের পালে হাওয়া লাগাতে চাইছে জাতীয় কংগ্রেস৷
তার ওপর যদি বামেদের সাথে আসন সমঝোতা হয়, সেক্ষেত্রে তৃণমূল বনাম জাতীয় কংগ্রেসের লড়াই জমে উঠবে বলেই মনে করছে জেলার জঙ্গলমহলের রাজনৈতিক বোদ্ধারা। এখন দেখার শেষে ভোটের ফলফল কোন দিকে যায়? তবে তার মাঝে বড়ো ফ্যাক্টর কিন্তু বিজেপি,তাদের ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ না বসাতে পারলে কৃষ্ণা দেবীর জেতা কঠিন হতে দাঁড়াবে তা বলাই বাহুল্য।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇