নজরে ভোট

ভোট পরবর্তী হামলাকে ঘিরে উতপ্ত জিঘাটি,"আক্রান্ত বিজেপি, নির্বিকার কমিশন"-অভিযোগ বিধায়ক চন্দনার।

ভোট পরবর্তী হামলাকে ঘিরে উতপ্ত জিঘাটি,আক্রান্ত বিজেপি, নির্বিকার কমিশন-অভিযোগ বিধায়ক চন্দনার।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার গঙ্গজলঘাটি ব্লকের বড়শাল গ্রাম। সারা গ্রামজুড়ে তান্ডবের চিহ্ণ! আর লোকের চোখে,মুখে আতঙ্কের ছাপ।ঘরে,ঘরে ব্যপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে তার নিশান পড়ে আছে ইতি,উতি।জলের পাম্প আছড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে,ঘরের দরজা খানখান হয়ে গেছে তান্ডবে।খড়ের বাড়ীর চাল গেছে ধসে। গ্রামের রস্তায় পড়ে আছে ইটের ভাঙ্গা টুকরো। ঘর থেকে খাবার থালা,বাটি গ্লাসকেও রেওয়াত করেনি হামলাকারিরা। সেগুলো ছড়িয়ে,ছিটিয়ে আছে ঘরের মেঝেতে। টালির চালাও লাঠির বাড়িতে ভেঙ্গে ফেলা হয়। আমাদের সংবাদ প্রতিনিধির ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে এমনই ছবি।

অভিযোগ, গ্রামের বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঘর গুলোতে বেছে,বেছে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি বাহিনী। মারধরও করা হয়েছে কয়েকজনকে। জানাগেছে,গতকাল ভোটের দিন স্থানীয় বুথে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা হয়। তা মিটেও যায়। কিন্তু রাত গড়াতেই সেই ঘটনার জের টেনে চলে সারা বডশাল গ্রাম জুড়ে তান্ডব। এবং গত রাত থেকে আজ বেলা পর্যন্ত দফায়,দফায় চলে এই তাণ্ডব।শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী এই ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, হামলার ঘটনা পুলিশকে জানালেও অনেক পরে পুলিশ গ্রামে আসে।

অভিযোগ, উলটে বিজেপির লোকজনকে মারধর করে পুলিশ। বিজেপির লোকজনের উপর তৃণমূল হামলা চালালেও পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। বারে বারে সব মহলে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চন্দনা দেবী।এদিকে,স্থানীয় তৃণমূল নেতা জীতেন গরাই এই ঘটনা গ্রাম্য পারিবারিক বিবাদের জের বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি,চন্দনা বাউরীর তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পালটা দাবি করেছেন।ঘটনার পর গ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ পিকেটিং রয়েছে।বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানানো হয়েছে।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇


Next Story