তৃণমূলের সব গোষ্ঠীকে মনোনয়নের মহা মিছিলে মেলালেন অরূপ চক্রবর্তী,অলকা ও শম্পার যুগলবন্দী নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
অরূপ বাবু লোকসভায় বিজয়ী হলে তাকে তালডাংরার বিধায়ক পদ ছাড়তে হবে।সেক্ষেত্রে তালডাংরায় বিধানসভা উপ নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে আছেন শম্পা দেবী।তাই তিনি গত বিধানসভা ও পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় অনেক বেশী সক্রিয় লোকসভা ভোটের প্রচারে।পাশাপাশি,তার অন্যতম প্রতিপক্ষ সায়ন্তিকাও এখন বাঁকুড়া জেলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছেন। ফলে শম্পা দেবীর গুরুত্ব দলে অনেককানি বেড়ে গিয়েছে বলে দলীয় সুত্রে খবর।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : তৃণমূলের অন্দরেই জোর চর্চা।বাঘে- বলদে একঘাটে জল খাওয়াতে ওস্তাদ অরূপ চক্রবর্তী।আর মনোনয়নের মহা মিছিলে কার্যত সেই কাজটাই করে দেখালেন বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা লোকসভা ভোটে জেলা তৃণমূলের সব গোষ্ঠী কোঁদলকে বিসর্জন দিয়ে সব পক্ষকে মেলালেন। শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেত্রী অলকা সেন মজুমদার অর্থাৎ বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং প্রাক্তন পুরসভার চেয়ারপার্সন তথা বাঁকুড়া বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক শম্পা দরিপা দুই জন দুই মেরুতে অবস্থান করেন।
মনোনয়নের মহা মিছিলে একই গাড়ীতে চড়ে এই দুই নেত্রীকে কাঁধে,কাঁধ মিলিয়ে অরূপ চক্রবর্তীর পক্ষে গলা ফাটানোর চিত্র চাক্ষুষ করলেন সকলে। আর তাই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও এখন চর্চা তুঙ্গে৷ এদিন, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্রকেও দেখা যায় মিছিলে হাঁটতে। অরূপ বাবু বলেন, দলে এখন কোন গোষ্ঠী নেই সকলে মিলে,মিশে কাজ করছেন।তাই এবার তার দিল্লী যাত্রা নিশ্চিত।তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্রে খবর,শম্পা দেবী দীর্ঘদিন পর দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে নানান কর্মসুচিতে অংশ নিচ্ছেন। আসলে,অরূপ বাবু লোকসভায় বিজয়ী হলে-
তাকে তালডাংরার বিধায়ক পদ ছাড়তে হবে।সেক্ষেত্রে তালডাংরায় বিধানসভা উপা নির্বাচন হবে।আর এই উপ নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে আছেন শম্পা দেবী।তাই তিনি গত বিধানসভা ও পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় অনেক বেশী সক্রিয় লোকসভা ভোটের প্রচারে।পাশাপাশি,তার অন্যতম প্রতিপক্ষ সায়ন্তিকাও এখন বাঁকুড়া জেলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছেন। ফলে শম্পা দেবীর গুরুত্ব দলে অনেককানি বেড়ে গিয়েছে। এছাড়া অরূপ বাবু সাংসদ নির্বাচিত হলে, দলের জেলা সভাপতির পদ তিনি ছাড়তে পারেন বলে খবর।
সেক্ষেত্রে দলে শম্পা দেবীকে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্বও দিতে পারে দল।এই হিসেবে -নিকেশ করেই জেলার রাজনীতিতে তার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতেই শম্পা দরিপার অতি সক্রিয়তা বলে মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক বোদ্ধারা।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇
👁️🗨️🎦👇