জেলায় চালু হল 'সহমর্মী' প্রকল্প, সাত সকালে সাইকেলে চড়ে গ্রামে ঘুরলেন জেলাশাসক!
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কেমন আছেন জেলার গ্রামের মানুষ? তাদের দুঃখ,কষ্টে, সমস্যায় সহমর্মিতা জানাতে এবার গ্রামে গিয়ে হাজির হবেন জেলার সরকারি আমলারা। জেলাশাসক,মহকুমা শাসক,বা বিডিওরা নিয়ম করে ঘুরবেন গ্রামে,গ্রামে।এমনই এক অভিনব প্রকল্প হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। যার পোষাকী নাম "সহমর্মী"।
আজ এই সহমর্মী প্রকল্পের কার্যত অনানুষ্ঠানিক সূচনা করলেন খোদ জেলাশাসক। সাত সকালেই সদর শহরের হিল হাউস থেকে বাই সাইকেলে চড়ে তিনি সরাসরি পৌঁছে যান জেলার দুই নাম্বার ব্লকের তিল্যাবেদিয়া, পুরন্দরপুর অঞ্চলে। গিয়ে গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা,দুঃখ,কষ্টের কথা শোনেন। এমনকি তা মেটাতে তৎক্ষনাৎ নিদানও দেন জেলা শাসক ডাঃ উমা শঙ্কর এস।
সাত সকালে আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠতেই সাক্ষাৎ জেলাশাসককে এভাবে ঘর দুয়ারে পেয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরাও। অনেকে অাদো ঘুমের ঘোর কাটিয়ে উউে তাদের নানা কথা শেয়ার করেন জেলাশাসকের সাথে।
জেলাশাসকও গ্রামের মাঠের আল পথে এপাড়া,ওপাড়া ঘুরে খোঁজ নেন চাষ আবাদের,সরকারি সুযোহ,সুবিধার হাল এই গ্রামে কেমন তারও জরিপ সারেন নিমেষে। বার্ধক্য ভাতা,প্রতিবন্ধী শংসাপত্র সহ নানা সমস্যার কথা জানান গ্রামবাসীরা।
এমন অভিনব জন প্রকল্পের কথা জেনে বেজায় খুশী গ্রামের মানুষ।
জেলাশাসক তো দূরঅস্ত! এর আগে সামান্য বিডিওদের সাথে দেখা করে সমস্যা জানান গ্রামের মানুষদের কাছে দুষ্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াত! তাই ঘর দুয়ারে এভাবে জেলা প্রশাসনের সর্বময় কর্তাকে সমস্যা জানানোর সুযোগ মেলায় তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জেলা শাসককেও।
অন্যদিকে, জেলাশাসক ডাঃ উমা শঙ্কর এস জানান এই সহমর্মী প্রকল্পে এবার নিয়মিত ভাবে সরকারি আধিকারিকরা গ্রামে,গঞ্জে যাবেন। সপ্তাহে অন্তত দুটো দিন গ্রামে গিয়ে, গ্রামবাসীদের নানা সমস্যা,সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত অভাব অভিযোগ শুনবেন আর তার সমাধানও করবেন।আর অফিসের কাজে যেন ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য সকালের দিকেই এই কাজে বের হবেন সরকারি আধিকারিকরা।