জেলা পুলিশের ব্যাতিক্রমী বিজয়া সম্মেলনে দেওয়া হল সচেতনতার পাঠ, আর পংক্তি ভোজে মাটিতে বসে সবার সাথে মধ্যাহ্ন ভোজন সারলেন ডিএম,এসপি, সভাধিপতি ও বিধায়কেরা !
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এবছর ব্যতিক্রমী বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করল জেলা পুলিশ। সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন, ছাত্র,ছাত্রী, মাজি মাড়োয়া থেকে মৌলবী এমনকি বিভিন্ন সমসজসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি,গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরের জন প্রতিনিধি থেকে সাংসদ,বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানিয়ে পুলিশ কিছু "বলল"।
এবং এই "বলা"-র মধ্যদিয়ে সমাজের কূসংস্কার,শিশুপাচার, নারী পাচারের মতো ইস্যু গুলোকে তুলে ধরে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, জেনে, বা না জেনে, আইন কে নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার জন্য কি,কি সমস্যায় পড়তে হতে পারে? তার পাঠও দেওয়া হল।
এই বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আরও কিছু বিষয় এদিন তুলে ধরা হয়। যেমন :
গণ পিটুনি বা পথ অবরোধ, অগ্নি সংযেগ, বা সরকারী সম্পত্তি ভাঙ্গচুরের মতো ঘটনা আমরা অনেক সময় ঘটিয়ে থাকি! তার ফল যে আইনী গেরোয় পড়ে. কতখানি ভয়ানক হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই অজানা! এমন সব অজানা,অচেনা বিষয় নিয়েই খোলামেলা নানা কথা বললেন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা।
আর,তা শুনলেন উপস্থিত প্রায় হাজার খানেক সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষজন।
প্রেজেক্টার দিয়ে ভিডিও ক্লিপিংসের মাধ্যমে বিষয় ভিত্তিক উপাস্থাপনারও ব্যবস্থা ছিল।
ফলে, সকলেই সহজ ভাবেই পুলিশের বলা বিষয় বুঝে নিতে পারলেন।
এই সভার শেষে ছিল পংক্তি ভোজের আয়োজন। বাংলার সনাতনী ঢং-এ মাটিতে চট পেতে এই বিজয়া সম্মেলনের ভোজন পর্ব চলে।
খিচুড়ি,বেগুনী, পাঁচমিশালী তরকারী,চাটনী পাঁপড়,আর বোঁদে ছিল আহারের পদ। জিলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও,
জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস এবং কয়েক জন বিধায়কও সকলের সাথে মাটিতে পাতা চটে বসেই, এদিনের মধ্যাহ্ণ ভোজন সারলেন।
উপস্থিত সকলে এই একসাথে বসে পংক্তি ভোজনের তারিফও করলেন পুরোদমে!
সবেমিলে, জন সংযোগ, জন সচেতনতা গড়ে তুলতে পুলিশের "বলা"- কথা, এবং তা নিয়ে, উপস্থিত সকলের 'উপলব্ধি' -ই আজকের এই ব্যতিক্রমী বিজয়া সম্মেলনের যে সব থেকে বড়ো পাওয়া, তা বলাই বাহুল্য।
#দেখুন ভিডিও।
[embed]