পাত্রসায়রে করোনা আক্রান্ত কিশোরের গ্রামে যাচ্ছে মেডিকেল টিম, নেওয়া হতে পারে কমিউনিটি স্যাম্পল, কারা,কারা নিবিড় সম্পর্কে তাও চিহ্নিত করা হবে।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পাত্রসায়রে করোনা আক্রান্ত কিশোরর গ্রামে যাচ্ছে মেডিকেল টিম। শনিবার গ্রামে গিয়ে টিম প্রয়োজনে কমিউনিটি স্যাম্পেল কালেকশন করে পরীক্ষায় পাঠাতে পারে।এছাড়া আর কারা,কারা, তার নিবিড় সংস্পর্শে এসেছে তাদেরও খোঁজ করবে টিম। এদিকে, পাত্রসায়র ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া কিশোরের ট্রাভেল হিস্ট্রি থেকে জানা যাচ্ছে লক ডাউনের দিন দুই আগে কিশোরটি কলকাতার আর্মহাস্ট স্ট্রিটে গিয়েছিল। সেখান থেকে পাত্রসায়র ফেরে সে। পাত্রসায়রে এক মহিলা সহ পাঁচ পুরুষ মিলিয়ে ছয় জন তার নিবিড় সংস্পর্শে এসেছে বলে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতায় তার সাথে কাদের সংস্পর্শ ঘটে এবং সেখানে কেও আক্রান্ত কিনা তারও খোঁজ নেবে স্বাস্থ্য দপ্তর।যদিও কিশোরটি পাত্রসায়র ফেরে ১১ মে। আর ফল জানা যায় আজ। অর্থাৎ ১৪ দিনের দোড় গোড়ায় সে। তাই তার আর,বিপদ তেমন নেই। এবং শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে তা ধরেই নেওয়া যায়। এখন আর একটা বিষয় দেখার তার কলকাতায় সংক্রমণ ঘটেছে না আসার পথে না পাত্রসায়রেই সংক্রমণ হয়েছে এই বিষয় গুলি খতিয়ে দেখবে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মেডিকেল টিম বলে খবর। অন্যদিকে,
জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য কিশোরটিকে দুর্গাপুরের কাঁকসার একটি বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এখন জেলাবাসীদের আক্ষেপ, এই কিশোরের পজেটিভ ধরা পড়ার পর বাঁকুড়ার গ্রীণ জোনের তকমা হারাবে। পাশাপাশি আর কজনের পজেটিভ ধরা পড়ে সেই আশঙ্কা করছেন তারা।
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের হাসপাতাল সুত্র জানা গেছে, কিশোরটি ভালই আছে। কোন গুরুতর শারিরীক জটিলতা দেখা যায়নি তার।
এই অবস্থায়, জেলাবাসীর কাছে, আমাদের অনুরোধ এইঘটনায় অযথা আতঙ্কিত হবেন না। লকডাউন মেনে চলুন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। ভীড় বা জমায়েত করবেন না।করতেও দেবেন না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলুন।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]