হারাতে বসেছে সনাতনী চামড়ার ঢাক ! তার জায়গায়, এবার পূজোয় বাড়ছে সিন্থেটিক ঢাকের রমরমা।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সনাতনী চামড়ার ঢাকের আওয়াজ আর মিলবে না মন্ডপ গুলোতে! তার জায়গায়, বাজবে কৃত্রিম সিন্থেটিকের ঢাক। এই ট্রেন্ড এবার জেলার সব ঢাকী মহল্লাতেই।
কারণ, বৃষ্টি বাদলায় ঝক্কি নেই এই সিন্থেটিকের ঢাকে। ফলে, ভারী বৃষ্টিতেও শোভাযাত্রায় সমান তালে বাজানো যায় কৃত্রিম ঢাক। যেখানে,চামড়ার ঢাকে জল পেলে আওয়াজই বের হয় না। আগুনের সেঁক দিয়ে,বা রোদে রেখে চামড়ার ঢাক কে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে হয়। তবেই তাতে বোল তোলা সম্ভব।
এখন এই ঝক্কি আর সময় বাঁচাতে সব ঢাকীই বেছে নিচ্ছেন সিন্থেটিকের ঢাক। তবে চামড়ার ঢাকের মতো গাম্ভীর্য্য, মধুরতা ও শব্দের ব্যাপ্তি যে সিন্থেটিকের ঢাকে নেই এক বাক্যে মেনে নিয়েছেন প্রবীণ ঢাকীরা। কিন্তু, কাজের সুবিধের জন্য বাধ্য হয়েই সিন্থেটিকের ওপর ভরসা করছেন এই প্রজন্মের ঢাকীরা।
তবে, এখনও গুটি কয়েক মন্ডপে চামড়ার ঢাকের চল আজও আছে। সেগুলো, কয়েকটি মেলা বা পারিবারিক পূজে আর কিছু রাজবাড়ী ও জমিদার বাড়ীর পূজো। সংস্কার মেনে চামড়ার ঢাক ছাড়া অন্য ঢাক বাজে না এই মন্ডপ গুলোয়।
বাকী এরাজ্য,ও ভিনরাজ্যের বারোয়ারী পূজোয় ঢালাও বাজবে সিন্থেটিক ঢাক।
জেলার প্রতাপ পুরের ঢাকী মহল্লায় এখন সাজে,সাজো রব। এখানকার ঢাকীরা কলকাতা,দিল্লী, মুম্বাই,চেন্নাই সহ পড়শী রাজ্য বিহার,ঝাড়খন্ডের মন্ডপের বায়না ধরেছেন। এমনকী সাংসদ মুনমুন সেনের তরফেও কাজের বরাত মিলেছে এই গ্রামের ঢাকীদের কাছে।
বংশ পরম্পরায় এই গ্রামের প্রায় ৩০-৩৫ টি পরিবার ঢাক বাজিয়ে রুজি,রুটি চালিয়ে আসছেন। তাদের দাবী রোজগার তেমন না হলেও বাপ,ঠাকুরদার বৃত্তি ধরে রাখতেই আজও পূজোর কটা দিন গ্রাম ছেড়ে মন্ডপে,মন্ডপে পাড়ি দিচ্ছেন এখানকার ঢাকীরা।
#দেখুন ভিডিও।[embed]