দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৭ যুবকের ২০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিল বাঁকুড়া আদালত।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৭ যুবক কে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত করল বাঁকুড়া জেলা আদালত। এবং একই সাথে,তাদের প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও আনাদয়ে অতিরিক্ত ৬ মাস কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেন বিচারক।
এছাড়া,আরও এক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় জুভেনাইল কোর্টে তার বিচার চলছে।প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী, সরস্বতী পুজোর দিন বন্ধুর সাথে স্কুটি চড়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল ওই ছাত্রী। তার বন্ধুকে চাপিয়ে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন গোড়া বাড়ী এলাকায় গিয়েছিল সে। কিন্তু এলাকায় পুজো মন্ডপের দেখা না মেলায়,তারা শহরে ফিরে আসাছিল।
পথে ঠান্ডা লাগায়,স্কুটির ডিকি থেকে জ্যাকেট বের করে পরার সময়,আচমকা জনা ৫ যুবক তাদের পথ আগলায়।
পরে,আরও ৭-৮ জন যোগ দেয়। বন্ধুক দেখিয়ে টাকা পয়সা, মোবাইল কেড়ে নেয়। ছাত্রীর বন্ধুকে মারধর করে বন্ধুক দেখিয়ে আটকে রাখে। স্কুটিটিও কেড়ে রেখে দেয় ওই যুবকেরা।এরপর,মেয়েটিকে মুখ চেপে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে,চলে গণধর্ষণের পালা। সেই কাজে এক নাবালকও সামিল হয়েছিল।
এরপর ধর্ষন শেষে তারা পালিয়ে গেলে বন্ধুটি ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে। পথে আরও কয়েক জন্য বন্ধুর সাথে দেখা হয়। তাদের সহযোগিতায় শহরে ফিরে আসার সময় ছাত্রীটির বাবার সাথেও দেখা হয়। বাবা মেয়েকে বাড়ী নিয়ে যান। ঘটনা শুনে ওইদিন রাতেই থানা অভিযোগ জানান। মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে, মোবাইলের সূত্র ধরে,প্রথমে বিবেক আঠা কে গ্রেপ্তার করে। তারপর,বিবেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
ছাত্রী আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেয়।
টি আই প্যারেডও দোষীদের সনাক্ত করে ফেল ওই ছাত্রী।এরপর বিচার পর্ব চলে।
অবশেষে,আদালত ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এবং বিবেক আঠা,হীরু বাউরী,শান্তনু বাউরী,রাহুল বাউরী, লক্ষ্মী বাউরী,লখু বাউরী,গৌরাঙ্গ পরামানিক এই ৭ জনকে ২০ বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচার।
আর এক জন নাবালক হওয়ায় তার জুভেনাইল কোর্টে বিচার চলছে।