চাষ- আবাদ

লকডাউনে আদিবাসী গ্রামে চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার দিশা দিতে বিশেষ উদ্যোগ জেলা পুলিশের।গ্রীণ আর্থ কে সাথে নিয়ে কৃষি শিবির।

লকডাউনে আদিবাসী গ্রামে চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার দিশা দিতে  বিশেষ উদ্যোগ জেলা পুলিশের।গ্রীণ আর্থ কে সাথে নিয়ে কৃষি শিবির।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জেলার শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত কয়েকটি আদিবাসী গ্রামকে ইকো ভিলেজ হিসেবে গড়ে তুলে নজরচকেড়েছিল জেলা পুলিশ। এবার লকডাউনের মধ্যে এই এলাকার গ্রামীণ আদিবাসী পল্লী মানুষজনকে কৃষি কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিল জেলা পুলিশ। গ্রামের বাদিন্দাদের পাশাপাশি যে সব পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামে ফিরেছেন তাদের রোজগারের দিশা দেখাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কৃষি আধিকারিকদের সংগঠন এসএটিএসএ, কৃষিবিজ্ঞানী, ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে গঠিত গ্রীণ আর্থ এই কর্মসুচিতে সামিল হয়েছে।

জেলার শুশুনিয়ার কুশবোনা গ্রামে রবিবার প্রায় ৭০জনা আদিবাসী কৃষকদের হাতে কৃষি সরঞ্জাম, উন্নত বীজ,সার,বীজ,শোধক,ছত্রাক নাশকের পাশাপাশি বাড়ীর কিচেন গার্ডেনের জন্যো নানা মরসুমী শাক,সব্জির কিট বিলি করা হল। সেই সঙ্গে আগামী খরিফ চাষে কিভাবে চাষ করলে বেশী ফলন মিলবে তার পাঠও দেওয়া হয় এদিনের শিবিরে। এই ভাবে গ্রামের মানুষের রোজগারের উপায় যেমন মিলবে তেমনি বাজারে কৃষিজাত দ্রব্যের যোগানও বাড়ানো যাবে বলে দাবী করেছেন উদ্যোক্তারা।

এই কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন সাটসার জেলা সম্পাদক শঙ্কর দাস, কৃষি বিশেষজ্ঞ ডঃ মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ শান্তনু কুন্ডু, অধ্যাপক ডঃ তীর্থঙ্কর বিশ্বাস প্রমুখ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল সামন্ত জানান করোনা পরিস্থিতিতে ধান,গম,সবজি তৈলবীজ প্রভৃতির চাষ একশ দিনের কাজের আওতায় আনা যায় কিনা তার সুপারিশেরও প্রস্তাব ওঠে এদিন। সেই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed] href="https://www.bankura24x7.com/fever-word-exclusive-update/img-20200427-wa0013/" rel="attachment wp-att-9015">

Next Story